সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিরোশিমা-নাগাসাকির বিভীষিকা আজও বিদ্যমান। আণবিক দানবের গ্রাসে যে সভ্যতা মুহূর্তে লোপ পেতে পারে তা আজ স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে (Ukraine) কেন্দ্র করে আবারও সংঘাতের পথে হাঁটছে দুই মহাশক্তি রাশিয়া ও আমেরিকা। ফলে ইউক্রেন থেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।
[আরও পড়ুন: আমেরিকার স্কুলে গুলিবৃষ্টি পড়ুয়ার, মৃত কমপক্ষে ৩]
বেশ কয়েকবছর ধরে পূর্ব ইউক্রেনে সরকারি বাহিনী ও ‘রাশিয়ার মদতপুষ্ট’ বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াই চলছে। বিদ্রোহীরা ওই অঞ্চলকে ইউক্রেন থেকে পৃথক করে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করতে চায়। পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়ে ওঠে ২০১৪ সালে। হামলা চালিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। তারপর থেকেই অধুনা সোভিয়েত ইউনিয়ন-ভুক্ত দুই দেশের মধ্যে বিবাদ চরমে। এহেন পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি অভিযোগ জানিয়েছেন যে মস্কো কলকাঠি নেড়ে তাঁর সরকারকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। ইতিমধ্যে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস হয়েছে। এই পরিকল্পনায় বেশ কয়েকজন রুশ নাগরিক জড়িত বলেও অভিযোগ করেন জেলেন্সকি।
এহেন উত্তেজক পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে দূরে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। মঙ্গলবার মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন কড়া ভাষায় জানান, ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে গুরুতর ফল ভোগ করতে হবে মস্কোকে।” এই বিষয়ে ন্যাটো সামরিক জোটের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক চলছে বলেও জানান ব্লিঙ্কেন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ইউক্রেনের মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স তথা সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের কিরইয়োল বুদানভ জানান, ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় ৯২ হাজার সেনা মজুত করেছে রাশিয়া। মার্কিন পত্রিকা ‘মিলিটারি টাইমস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুদানভের দাবি, আগামী জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে হামলা চালাতে পারে মস্কো। শুরুতে রুশ যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী ইউক্রেনের সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালাবে। তারপর আসবে রুশ পদাতিক বাহিনী। তবে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া।