shono
Advertisement

Breaking News

‘তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আলোচনায় বসে আমেরিকা’, বিস্ফোরক মার্কিন দূত

আফগান যুদ্ধ শেষ করায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে খলিলজাদের।
Posted: 09:23 AM Oct 25, 2021Updated: 09:24 AM Oct 25, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইডেন প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিস্ফোরক বয়ান দিলেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ। তাঁর দাবি, তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয় আমেরিকা (America)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বেগড়বাই করলেই ধর্ষণ! রাশিয়ার জেলের নারকীয় ভিডিও ঘিরে চাপে ক্রেমলিন]

মার্কিন সংবাদমাধ্যম CBS News-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খলিলজাদ জানান, আফগানিস্তানে তালিবানের সঙ্গে তুমুল লড়াই হয়েছে আমেরিকার সেনাবাহিনী। ময়দানে বেশকয়েকবার যুদ্ধের গতি পালটানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন ফৌজ। আফগান সংবাদমাধ্যম টলো নিউজকে খলিলজাদ বলেন, “সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে যুদ্ধে (তালিবানের বিরুদ্ধে) জেতার কোনও আশা আমরা দেখিনি। আর আমাদের হাতে সময়ও অত্যন্ত কম ছিল। তার ফলস্বরূপ তালিবানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করি আমরা।” আমেরিকার আফগান নীতির তীব্র সমালোচনা করে খলিলজাদ দাবি করেন, আমেরিকা আফগানিস্তানের বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেনি। তারা ক্যালেন্ডার মেনে ফৌজ প্রত্যাহার করে।

চলতি মাসেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন খলিলজাদ (Zalmay Khalilzad)। কয়েকদিন আগেই দোহা শান্তি আলোচনার অন্যতম কান্ডারি জালমে খলিলজাদ স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে আশরফ ঘানি কাবুল ছেড়ে না পালালে শেষ মুহূর্তে আফগান সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান হয়ে যেত। এক সাক্ষাৎকারে খলিলজাদ জানান, পরিকল্পনা ছিল যে আফগানিস্তানে ক্ষমতা ভাগ নিয়ে রাজনৈতিক সমাধান না মেলা পর্যন্ত তালিবানকে কাবুলে ঢুকতে না দেওয়া। সেই উদ্দেশে কাতারে আমেরিকা ও তালিবানের মধ্যে আলোচনাও চলছিল। কিন্তু ঘানি কাবুল ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মাত্র সরকারি বাহিনী অস্ত্র ফেলে দেয়।

উল্লেখ্য, টুইন টাওয়ার হামলার পর আফগানিস্তানে প্রায় দুই দশক ধরে যুদ্ধ করেছে আমেরিকা। আর সেই যুদ্ধ শেষ করায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে খলিলজাদের। কাতারের রাজধানী দোহায় বিগত বছর দুয়েক ধরে তালিবানের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। কার্যত, তাঁর জন্যই আফগানিস্তান নিয়ে তালিবানের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে আমেরিকা এবং সেদেশ থেকে ফৌজ সরিয়ে ফেলে ওয়াশিংটন। কিন্তু গত আগস্ট মাসে পাহাড়ি দেশটি থেকে মার্কিন ফৌজ চলে যাওয়ার পর কাবুল দখল করে তালিবান। আর এখানেই ব্যর্থ খলিলজাদ। গায়ের জোরে কাবুল দখল না করার প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত কথা রাখেনি জেহাদিরা। আর এখানেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় খলিলজাদ ও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে।

[আরও পড়ুন: ‘ইমরান দিল্লিতে জনসভা করলে মোদির থেকেও বেশি ভিড় হবে’, আজব দাবি পাকিস্তানের মন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement