সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষিকার জীবন ছেড়ে জেহাদের পথ। সেখান থেকে ক্রমে জঙ্গি সংগঠনটির মহিলা ব্যাটালিয়নের মাথা হয়ে ওঠে মার্কিন শিক্ষিকা অ্যালিসন ফ্লুক এক্রেন। এবার আদলতে দোষ স্বীকার করেছে এহেন কুখ্যাত জেহাদি। সর্বোচ্চ ২০ বছরের জেলের সাজা হতে পারে তার।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ‘মিমস্টার’ ও সঞ্চালক আমির লিয়াকতের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য, শুরু তদন্ত]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভার্জিনিয়ার আলেকজান্দ্রিয়া আদালতে শুনানি হয় আইএস-এর মহিলা ব্যাটালিয়ন কমান্ডার অ্যালিসন ফ্লুক এক্রেনের। বছর বিয়াল্লিশের এক্রেনের বিরুদ্ধে আমেরিকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং শপিং মলে হামলার জন্য জঙ্গি নিয়োগের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি, আমেরিকা ছেড়ে পশ্চিম এশিয়ায় গিয়ে জঙ্গিদলে নাম লেখানোর পরে নিজের ছেলের ‘নিরাপত্তার’ ভয় দেখিয়ে প্রাক্তন স্বামীর থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টাও করে এক্রেন বলে অভিযোগ। মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, একশো জনেরও বেশি মহিলা জঙ্গিকে সিরিয়ায় (Syria) সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়েছে মার্কিন নাগরিক অ্যালিসন ফ্লুক এক্রেন। ওই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মধ্যে ১০ বছরের শিশুও রয়েছে। এমনকী, মানববোমাও তৈরি করত অ্যালিসন।
তবে জেহাদের পথ বেছে নেওয়া যে ভুল হয়েছে সেই কথা আদালতে স্বীকার করেছে ওই মার্কিন শিক্ষিকা। সিরিয়ায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত জানুয়ারি মাসে তাকে আমেরিকার আনা হয়। তারপরই শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর অক্টোবরের ২৫ তারিখ তার সাজা ঘোষণা হবে বলে খবর।
উল্লেখ্য, ‘খিলাফত’ বা ইসলামিক সাম্রাজ্য গঠনের স্বপ্ন নিয়ে ২০১৪ সালে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে (ISIS) নাম লেখায় এক্রেন। তারপর ভোলপালটে উম্মে মহম্মদ আল-আমরিকি ওরফে উম্মে জাব্রিল নাম নেয় সে। ২০১৬-য় পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি সংগঠনটির মহিলা ব্যাটেলিয়নের দায়িত্ব পায় এক্রেন। অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি মহিলা রংরুটদের গাড়ি চালানো এবং শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর শিক্ষা দেওয়ায় দায়িত্ব পান সে। সবমিলিয়ে, আত্মঘাতী হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই জঙ্গি।