সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেসবুকে (Facebook) মৃতদেহের নানা অংশ বিক্রি করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন এক মার্কিন (USA) মহিলা। জানা গিয়েছে, একটি হাসপাতালের কর্মরত ছিলেন তিনি। সেই সুযোগ নিয়েই মৃতদেহের অঙ্গ বিক্রি করেন ফেসবুকে পরিচিত ব্যক্তির কাছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও চলছে মামলার শুনানি।
জানা গিয়েছে, ওই মহিলার নাম ক্যান্ডিস চ্যাপম্যান স্কট। ৩৬ বছর বয়সি ক্যান্ডিস আরকানসাসের একটি মর্গে কাজ করতেন। মূলত তাঁর কাজ ছিল মৃতদেহগুলি সংরক্ষণ করে রাখা। সেই সময়েই ২০টি বাক্সে করে মৃতদেহের অঙ্গ বিক্রি করেছেন তিনি। এইভাবে অন্তত ১১ হাজার ডলার আয় করেছেন ক্যান্ডিস।
[আরও পড়ুন: ধোনির পরে চেন্নাইয়ের ক্যাপ্টেন কে? আক্রম জানিয়ে দিলেন তাঁর পছন্দ]
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ফেসবুকে ক্যান্ডিসের সঙ্গে আলাপ হয় ব্যক্তির। বন্ধুত্ব পাতানোর পরেই ব্যবসার প্রস্তাব দেন ক্যান্ডিস। জানান, যত্ন সহকারে সংরক্ষিত মানুষের মস্তিষ্ক রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। চাইলেই তা বিক্রি করতে পারেন ক্যান্ডিস। এই কথা শুনেই ওই ব্যক্তি মগজ কিনতে রাজি হয়ে যান। তারপরে নয় মাস ধরে হৃৎপিণ্ড, যৌনাঙ্গ, ফুসফুস, চামড়া-সহ নানা অঙ্গ বিক্রি করেন ক্যান্ডিস। একাধিক মৃতদেহের শরীর থেকেই অঙ্গ সরিয়ে বিক্রি করেন তিনি।
ঘটনার দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পর ধরা পড়েন ক্যান্ডিস। ফেসবুকের কথোপকথন ও অনলাইনে আর্থিক লেনদেন খতিয়ে দেখে আটক করা হয় তাঁকে। অবশেষে এপ্রিল মাসে ক্যান্ডিসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। যদিও তাঁর আইনজীবীর দাবি, জামিনে মুক্ত করা উচিত ক্যান্ডিসকে। তবে ঘৃণ্য অপরাধের কারণে তাঁর কারাদণ্ড চাইছেন আইনজীবীদের অধিকাংশ। আগামী মঙ্গলবার তাঁর শাস্তি ঘোষণা করবে আদালত।