সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৃত্রিম প্রজননের জন্য নিজের শুক্রাণু গোপনে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল আমেরিকার এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ৩৪ বছর আগে তিনি এমনটা করেছিলেন বলেই অভিযোগ এক মহিলার। ওয়াশিংটনের (Washington) ওই প্রজনন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম ডেভিড আর ক্লেপুল। ১৯৮৯ সালে তিনি শ্যারন হায়েসের প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসা করছিলেন। মহিলার ইচ্ছে ছিল অজানা কোনও দাতার থেকে শুক্রাণু নিয়ে নিজের ডিম্বাণু নিষিক্ত করার। সেইমতো ডেভিড শুক্রাণুর ব্যবস্থাও করেন। জানান শ্যারনের পছন্দমতো চুল ও চোখের মণির রং অনুযায়ীই ব্যক্তির থেকে শুক্রাণু নেওয়া হয়েছে। এবং সেই সময়ের নিরিখে তিনি ১০০ ডলার করে নিতেন প্রতিটি কৃত্রিম প্রজননের জন্য। মেডিক্যালের পড়ুয়াদের থেকেই শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয় বলে দাবি ছিল তাঁর।
[আরও পড়ুন: ‘দশম অবতার দেখতে চাই’, প্রসেনজিতের কাছে বিশেষ আবদার মমতার, কী বললেন বুম্বা?]
পুরো বিষয়টি সামনে আসে গত বছর। শ্যারনের ৩৩ বছরের মেয়ে ব্রায়ানা হায়েসের ডিএনএ পরীক্ষা হয়েছিল। সেই সময়ই তাঁর ‘বায়োলজিক্যাল’ বাবার পরিচয় সামনে আসে। ব্রায়ানা আবিষ্কার করেন ওই এলাকায় তাঁর অন্তত ১৬ জন ‘ভাইবোন’ রয়েছে! নিজের বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, ”এটা একেবারেই অস্তিত্বের সংকট।” এর পরই ব্রায়ানার মা আদালতের দ্বারস্থ হন।