সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্রুত বাড়ছে যুদ্ধের সম্ভাবনা। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা উস্কে কিয়েভের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা ও ন্যাটো সামরিক জোট। এহেন জটিল পরিস্থিতিতে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতকে (India) ‘আমন্ত্রণ’ জানাল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: বেআইনি ভাবে দখল করা Pok থেকে সরে যাক পাকিস্তান, রাষ্ট্রসংঘে কড়া বার্তা ভারতের]
বিগত কয়েকমাস ধরেই পূর্ব ইউরোপে ন্যাটো জোটের প্রভাব বিস্তার নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে রাশিয়া। সম্প্রতি, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক গোষ্ঠীটিতে কিয়েভের যোগ দেওয়ার জল্পনার পর থেকেই ইউক্রেন (Ukraine) সীমান্তে অন্তত ১ লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছে মস্কো। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে মিলেছে আসন্ন যুদ্ধের ইঙ্গিত! এহেন পরিস্থিতিতে কিয়েভের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন ও কানাডা। রুশ বাহিনীকে রুখতে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের হাতে অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল তুলে দিয়েছে ব্রিটেন। শুধু তাই নয়, ইউক্রেনের ফৌজকে মদত দিতে বিশেষ কমান্ডো বাহিনী পাঠিয়েছে কানাডা। এহেন ডামাডোলে মঙ্গলবার সমস্যা সমাধানে ভারতের ভূমিকা গ্রহণ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে জেন সাকি বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা যে কোনও মিত্র দেশের সহযোগিতাকে স্বাগত জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আমরা বন্ধু দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এক্ষেত্রে ভারত ভূমিকা নিলে সেই পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে এনিয়ে ভারতীয় অধিকারিকদের সঙ্গে হওয়া কোনও নির্দিষ্ট আলোচনা নিয়ে আমার কাছে বলার মতো কিছু নেই।”
উল্লেখ্য, মস্কোর উপর চাপ বাড়িয়ে সম্প্রতি ইউক্রেনের হতে হাতিয়ার ও যুদ্ধের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের একটি বিশাল ভাণ্ডার তুলে দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন চলতি মাসে বা আগামী মাসেই পড়সি দেশটিতে হামলা চালাতে পারে পুতিনের ফৌজ। এদিকে, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। পাশাপাশি, ন্যাটো গোষ্ঠীতে ইউক্রেনকে অন্তর্ভুক্ত না করার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। এর অন্যথা হলে সামরিক পদক্ষেপ করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে মস্কো। এহেন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের পৌঁছেছে ৩০ জনের ব্রিটিশ কমান্ডো বাহিনী। একইসঙ্গে প্রায় ২ হাজার ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী হাতিয়ার ও পাঠিয়েছে লন্ডন। ভবিষ্যতে আরও হাতিয়ার পাঠান হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস।