সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের (China) সঙ্গে সংঘাতের আবহেই তাইওয়ানকে (Taiwan) সামরিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। ইতিহাসে প্রথমবার তাইওয়ানকে সরাসরি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র খাত থেকে আর্থিক সাহায্য করতে চলেছে আমেরিকা। যদিও বরাবরই মার্কিন সমরাস্ত্রের অন্যতম বড় ক্রেতা তাইওয়ান। তবে চিনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে কোনওদিনই সামরিকভাবে তাইওয়ানকে স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসাবে সাহায্য করতে পারেনি আমেরিকা। এই প্রথমবার অন্য পথে হাঁটছে জো বাইডেন প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের তরফে জানানো হয়, তাইওয়ানকে ৮০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আমেরিকার ফরেন মিলিটারি ফাইনান্সিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির সামরিক খাতে ঋণ বা অনুদান দেওয়া হয়ে থাকে। এবার তাইওয়ানকেও একই সারিতে রাখা হল।
[আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে বেশি মদ খাওয়া ছাড়ুন’ ইটালির প্রধানমন্ত্রীর স্বামীর মন্তব্যে বিতর্ক]
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এহেন আচরণে চিন ক্ষুব্ধ হবে সেকথা বলাই বাহুল্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ করে আসলে তাইওয়ানকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা দিল আমেরিকা, যে বিষয়টি চিনের না পসন্দ। কারণ দ্বীপরাষ্ট্রটিকে সবসময়ে নিজেদের দেশের অখণ্ড অংশ বলে দাবি করে এসেছে চিন। এমনকি আমেরিকার সঙ্গে তাইওয়ানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রেও বাধ সেধেছে বেজিং।
তবে চিনের রক্তচক্ষু একেবারে উড়িয়ে দিতে পারেনি আমেরিকা। তাইওয়ানকে সামরিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করার পরেই বিদেশ দপ্তরের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে সাফ বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই এক চিন নীতি মেনে এসেছে আমেরিকা। আজও তার নড়চড় হয়নি। আমেরিকার উদ্দেশ্য, তাইওয়ান প্রণালী অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখা। কারণ ওই এলাকার উপরেই আন্তর্জাতিক শান্তি নির্ভর করে। মার্কিন সাহায্যকে স্বাগত জানিয়ে অতি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ধন্যবাদ জানিয়েছে তাইওয়ান।