সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে কি যুদ্ধং দেহি অবস্থান থেকে সরল ইজরায়েল (Israel)? বিরাট অঙ্কের সামরিক সহায়তা দিয়ে আপাতত তেল আভিভকে 'শান্ত' রাখার চেষ্টা করছে আমেরিকা (USA), এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের জন্য ১৩০০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তায় সিলমোহর দিয়েছে মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ। অন্যদিকে, ইরানও আপাতত যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটবে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান।
চলতি মাসের শুরু থেকেই সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে ইজরায়েল ও ইরান (Iran)। গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত্যু হয় ১৩ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। এই হামলার নেপথ্যে ইজরায়েলের হাত রয়েছে অনুমান করে পালটা ১৩ এপ্রিল ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর। একদফা আক্রমণ চালিয়েই অভিযানে ইতি টানে তারা। সেই হামলার পালটা ১৮ এপ্রিল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে ইজরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের মেঘ ঘনিয়ে আসে।
[আরও পড়ুন: বেবি পাউডার থেকে ক্যানসার, ফের অস্বস্তিতে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’! বিপুল জরিমানা সংস্থাকে]
তবে শুরু থেকেই 'বন্ধু' ইজরায়েলকে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। এবার সেদেশের জন্য বিরাট অঙ্কের সামরিক সহায়তাও মঞ্জুর করল মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতেই ১৩০০ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়া হবে। আমেরিকার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, দলমত নির্বিশেষে গোটা আমেরিকা সমর্থন করছে ইজরায়েলকে। তবে মার্কিন পদক্ষেপে গাজায় ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্যালেস্টাইনের। অন্যদিকে, ক্ষেপণাস্ত্র হানার পালটা দিয়ে ইরান এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি। তাই ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, তাহলে হয়তো আপাতত শান্তি বজায় রাখার পথেই হাঁটবে তেহরান।
তবে ইজরায়েল-আমেরিকা সখ্যের মাঝেও রয়েছে কাঁটা। সূত্রের খবর, আইডিএফের একটি শাখা নেতজা ইয়েহুদাকে নিষিদ্ধ করতে চাইছে আমেরিকা। কারণ গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে। মার্কিন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরে এই অভিযোগ অবশ্য সাফ খারিজ দিয়েছেন নেতানিয়াহু। কিন্তু আগামী দিনে কি এই সমস্যার জেরে ফাটল ধরবে ইজরায়েল-আমেরিকার বন্ধুত্বে?