সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসামরিক সাধারণ মানুষের উপর একের পর এক হামলার ঘটনায় গোটা পৃথিবীর নিন্দার মুখে ইজরায়েল (Israel)। এবার সাধারণ মানুষের উপর হামলার ঘটনায় তেল আভিভের জবাবদিহি চাইল আমেরিকা (America)। পাশাপাশি অসামরিক ক্ষতি এড়াতে হামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দিল।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে হামলা চালায় হামাস গোষ্ঠী। মৃত্যু হয়েছিল ১৪০০ মানুষের। এর পর থেকেই হামাস জঙ্গিদের খতম করতে গাজায় পালটা হামলা শুরু করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। ধুন্ধুমার যুদ্ধে মানবিকতার ঠাঁই নেই, তা প্রমাণিত গাজার আল-আহলি আরব হাসপাতালে হামলার ঘটনায়। যাতে প্রাণ হারান পাঁচশোর বেশি মানুষ। এর পর জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইজারায়েল। প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৫ জনের। সম্প্রতি অ্যাম্বুল্যান্সের বিমান হামলার ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
[আরও পড়ুন: পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা পাকিস্তানে, বিস্ফোরণ মৃত অন্তত ৫]
ইহুদি সেনার হামলায় মহিলা, শিশু-সহ অসংখ্য সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা বিশ্বে। যদিও ইজরায়েল দাবি, শরণার্থী শিবিরে লুকিয়ে ছিল হামাস জঙ্গিরা। হামলায় দুই হামাস কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংস করা গিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীর সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কের একটি অংশ। নেতানিয়াহু বাহিনীর আরও দাবি, আগেই ওই এলাকা থেকে প্যালেস্টাইনিদের সরে যেতে বলা হয়েছিল। যেহেতু উত্তর গাজার এই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে।
[আরও পড়ুন: বেআইনিভাবে ঢুকতে গিয়ে আমেরিকায় ধৃত ৯৭ হাজার ভারতীয় নাগরিক]
যুদ্ধের শুরু থেকেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে তাদের ‘ভালো বন্ধু’ আমেরিকা। তেল আভিভির সফরে নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পরে ইহুদি রাজ্যের পাশে দাঁড়ান মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। আন্তর্জাতিক চাপে সেই ‘বন্ধু’ই এবার অসামরিক সাধারণ মানুষের উপরে হামলার ব্যাখ্যা চাইল। বিশেষত জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং অ্যাম্বুলেন্সে হামলার ব্যাখ্যা চাইল আমেরিকা। পাশাপাশি আমজনতার ক্ষতি এড়াতে ইজরায়েলকে পরামর্শ দিল মার্কিন প্রশাসন।