কানাডা: ১৯৪/৫ (নভনীত ৬১, কির্টন ৫১, হরমিত ২৭/১)
আমেরিকা: ১৯৭/৩ (জোনস ৯৪, আন্দ্রিয়াস ৬৫, কালিম সানা ৩৪/১)
৭ উইকেটে জয়ী আমেরিকা।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে প্রতীক্ষার সমাপ্তি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বল গড়াল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (ICC T20 World Cup 2024)। টেক্সাসের স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আমেরিকা ও কানাডা। আইসিসির দুই অ্যাসোসিয়েট দেশের ম্যাচে তৈরি হল একাধিক রেকর্ড। আর সেখানে জোন্সের দাপটে ৭ উইকেটে সহজেই ম্যাচ জিতে নিল আমেরিকা।
ইতিহাস বলছে, বিশ্বের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল আমেরিকা আর কানাডার মধ্যেই। ১৮৪৪ সাল থেকে ২০২৪, মাঝে কেটে গিয়েছে ১৮০ বছর। ক্রিকেট উত্তর আমেরিকা ছেড়ে পাড়ি দিয়েছে অন্যান্য মহাদেশে। এবার আবার যেন 'ঘরের মাঠে' ফেরা। ১৮০ বছর আগের ম্যাচে ২৩ রানে জিতেছিল কানাডা। এদিন কুড়ি-বিশের বিশ্বযুদ্ধের মঞ্চে অনায়াসে জিতল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে ইতিহাস রিয়ালের, বরুশিয়াকে উড়িয়ে দুরন্ত জয় পেলেন ভিনিসিয়াসরা]
এদিন ডালাসের গ্র্যান্ড প্রাইরি স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন আমেরিকার অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। ব্যাট করতে নেমে রেকর্ড তৈরি করেন কানাডার ব্যাটাররা। বিশ্বকাপে অ্যাসোসিয়েট দেশ হিসেবে নভনীত ঢালিওয়ালরা ভেঙে দেন সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ২০১৪-র বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডস করেছিল ১৯৩ রান। এদিন ৫ উইকেট হারিয়ে কানাডা করে ১৯৪ রান। শুরুতেই ঝড় তোলেন অ্যারন জনসনরা। ৪৪ বলে ৬১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে যান নভনীত। শেষের দিকে ঝোড়ো ব্যাটে বড় রানের লক্ষ্য তৈরি করেন নিকোলাস কির্টন (৫১) ও শ্রেয়স মোভভা (৩২)।
জবাবে রানের পাহাড় টপকাতে হত আমেরিকাকে। তাদের কাছেও ছিল রেকর্ডের হাতছানি। বিশ্বকাপে অ্যাসোসিয়েট দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ রান তাড়া করতে নেমে পরীক্ষায় সফল মোনাঙ্ক প্যাটেলরা। কানাডার বোলাররা শুরু করেছিলেন দাপটের সঙ্গেই। স্টিভন টেলর ও মোনাঙ্ক ফিরে যান দ্রুত। তার পর আমেরিকাকে লড়াইয়ে ফেরান অ্যারন জোনস ও আন্দ্রিয়াস গোউস (৬৫)। বিশেষত জোনসের মারকুটে ব্যাটিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নিখিল দত্তরা। শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে অপরাজিত ৯৪ রান করে ইতিহাস গড়তে সাহায্য করেন তিনি। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আমেরিকা জেতে ৭ উইকেটে।