shono
Advertisement

আমেরিকার ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিটিতে ভারতবিরোধী মৌলবাদীদের রমরমা, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

ভারতের (India) ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন কমিটি।
Posted: 03:14 PM Apr 26, 2022Updated: 03:14 PM Apr 26, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মার্কিন কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমে’র (USCIRF) বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। তবে সাম্প্রতিক আরেকটি রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই মার্কিন কমিটির সদস্যদের অনেককেই বিভিন্ন ভারত বিরোধী মৌলবাদী সংগঠনের (Anti-India Organization) মঞ্চে দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছে ডিসিনফো ল্যাব নামক সংস্থার রিপোর্ট।

Advertisement

এই প্রথম ভারতের (India) ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মার্কিন কমিটি, এমনটা নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার ভারতকে বিঁধে রিপোর্ট পেশ করেছে এই কমিটি। তবে এই কমিটির সুপারিশ মানতে বাধ্য নয় মার্কিন সরকার। তাই প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বা বর্তমানে জো বাইডেন কেউই এই সুপারিশ গ্রহণ করেননি।

[আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে ভারতে পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’, রিপোর্ট মার্কিন কমিটির]

তবে বিভিন্ন গবেষণা থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য যা মার্কিন কমিটির ভারত বিরোধিতার নিদর্শন হিসাবে দেখা যেতে পারে। আইএএমসি অর্থাৎ ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল বেশ কয়েকবার ভারতকে একঘরে করার চেষ্টা করেছে। ২০২১ সালে ভুয়ো খবর ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক অশান্তি তৈরি করার অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে। এই সংস্থার নেতা শায়িক উবেদ মার্কিন কমিটিকে প্রভাবিত করেছিলেন বলে দাবি করেছে এই রিপোর্ট। এমনকী প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা দিয়ে এই কমিটিকে বলা হয়েছিল ভারত বিরোধী রিপোর্ট পেশ করতে, এমনটাও উঠে এসেছে এই রিপোর্টে।

পাকিস্তান একটি ম্যাপ তৈরি করে যেখানে কাশ্মীর, লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশকে ভারতের অংশ বলে অভিহিত করা হয়নি। মার্কিন কমিটি সেই ম্যাপ ব্যবহার করেছিল বলেও জানা গিয়েছে ওই রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর সফরে আসেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ইলহান ওমর। বিতর্কিত মন্তব্য করে তিনি বলেছিলেন, “আমার মনে হয় কাশ্মীর নিয়ে যতটা আলোচনা হওয়া উচিত, মার্কিন কংগ্রেসে ততটা হচ্ছে না।” তখনকার মতো আমেরিকার তরফে এই সফরকে ‘ব্যক্তিগত’ বলে অভিহিত করা হয়। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই ভারত বিরোধী রিপোর্ট পেশ করা হল মার্কিন কংগ্রেসে। তারমধ্যেই ডিসিনফো ল্যাবের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসায় কী প্রভাব পড়বে ভারত-আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহলে চলছে জল্পনা।

[আরও পড়ুন: ‘স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক’ প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে রাষ্ট্রসংঘে সওয়াল ভারতের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement