সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) উপর রুশ (Russia) সেনা অভিযান চালানো ইস্তক ওয়াশিংটনের বার্তা ছিল, রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত রকমের অসহযোগিতার করার। কিন্তু যুদ্ধের প্রায় আড়াই মাস পর দেখা যাচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ভারত যে পরিমাণ তেল আমদানি করেছে রাশিয়া থেকে, তার চেয়ে অনেক এগিয়ে ইউরোপের দেশগুলি। এমনকী আমেরিকাও এই আমদানির তালিকায় অনেকটা উপরের দিকেই রয়েছে।
সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার বা ‘ক্রেয়া’-র তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার তেল রপ্তানি বেড়েছে। ভারত অবশ্য শুরু থেকেই যুদ্ধের বিরোধিতা করলেও তেল আমদানি নিয়ে অনড় ছিল। মার্কিন চাপ সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি।
[আরও পড়ুন: উষ্ণতায় ১২২ বছরের রেকর্ড ভাঙল দেশ, হাফ সেঞ্চুরির পথে উত্তর ভারতের তাপমাত্রা]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইউক্রেনে যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে লাগাতার বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম। আর রাজকোষে বিশাল চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে মোদি সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লিকে সস্তায় তেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মস্কো।
বন্ধু দেশগুলিকে পাশে পেতেই অনেক কম দামে তেল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। বলা হয়েছিল, যুদ্ধ শুরুর আগের চেয়েও কম দরে তেল রপ্তানি করবে রাশিয়া। তাতে সাড়াও দিয়েছিল ভারত। এই মুহূর্তে দেশের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে রুশ তেল আমদানি করা লাভজনক হবে বলেই মত অর্থনৈতিক মহলের। কিন্তু এনিয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়িয়েছিল পশ্চিমী দেশগুলি। কিন্তু এবার দেখা গেল ভারতের উপরে সবাই চাপ সৃষ্টি করলেও রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় বিন্দুমাত্র পিছিয়ে নেই পশ্চিমী দেশ ও আমেরিকাও।