সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের (China) ক্ষতি করতেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াচ্ছে আমেরিকা। আসলে চিনকে রুখতে ভারতকে (India) দেওয়াল হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে জো বাইডেন প্রশাসন। তবে এই পরিকল্পনা একেবারে মুখ থুবড়ে পড়বে। ভারত- আমেরিকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একহাত নিয়ে এই মন্তব্য করলেন চিনা কূটনীতিক ওয়াং ই (Wang Yi)। চিনের রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্ব বিদেশমন্ত্রীর চেয়েও অনেক বেশি। প্রসঙ্গত, এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার দিনই আমেরিকা সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)।
চিনের সঙ্গে আমেরিকার (USA) সংঘাত কাটার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সফরের পরেও দুই দেশের তিক্ততা অব্যাহত। এহেন পরিস্থিতিতেই আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন মোদি। ২০১৪ সালের পর থেকে মোট ৬ বার মার্কিন মুলুকে পা রেখেছেন তিনি। তবে এই প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যাবেন। জো বাইডেনের আমন্ত্রণে নৈশভোজে যোগ দিয়ে অস্ত্র কেনা-সহ নানা বিষয়ে আলোচনাও করবেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট, হাই কোর্টের রায়ই বহাল শীর্ষ আদালতে]
এহেন পরিস্থিতি ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একহাত নিয়েছেন চিনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। একটি সম্পাদকীয়তে তিনি লিখেছেন, “২০১৪ সালের পর থেকে ছয়বার আমেরিকায় গিয়েছেন মোদি। এই প্রথমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যাচ্ছেন তিনি। আসলে চিনকে আটকানোর জন্য ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকা। চিনের আর্থিক বৃদ্ধি আটকাতে এটাই আমেরিকার নয়া চাল। তবে মোদির এই আমেরিকা সফরে ভারতের অনেকেই চিন্তিত। কারণ তাঁরা বুঝেছেন, শুধুমাত্র চিনকে ঠেকানোর জন্যই ভারতকে দাবার সৈনিকের মতো ব্যবহার করছে আমেরিকা।”
চিনা কূটনীতিকের মতে, “মার্কিন রাজনীতির চাল বোঝা খুব একটা কঠিন নয়। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে আমেরিকা ভাবছে, চিনের আর্থিক বৃদ্ধি ঠেকানো যাবে। তবে এই মার্কিন কৌশল একেবারে মুখ থুবড়ে পড়বে। কারণ বিশ্ব বাণিজ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে চিন। সেই জায়গা থেকে চিনকে সরিয়ে দেওয়া ভারত বা অন্য কোনও দেশের পক্ষে সম্ভব নয়।”