সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মরতে মরতে বাঁচলেন তরুণী। অভিযোগ, তাঁকে কুপিয়ে প্রায় আধমরা করে জীবন্ত কবর দিয়েছিলেন খোদ স্বামী। যদিও তরুণী বেঁচে যান। সৌজন্যে অ্যাপেল স্মার্টওয়াচ (Apple Smartwatch)। ওই স্মার্টওয়াচ থেকে কোনওরকমে পুলিশের এমারজেন্সি নম্বরে (Emergency Number) ফোন করতে সক্ষম হয়েছিলেন তরুণী। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। সম্প্রতি এমনটাই ঘটেছে আমেরিকার (America) ওয়াশিংটন শহরে। এই কাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪২ বছরের তরুণীর নাম ইয়ং সুক আন। অভিযুক্ত স্বামী বছর ৫৩-এর কিয়ং আন। দম্পতি একসঙ্গে থাকতেন না। তাঁদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। খোরপোশের টাকা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদ চরমে উঠেছিল। এর পর সাম্প্রতিক ঘটনা। গত ১৬ অক্টোবর তরুণীকে জোর করে বাড়ি থেকে তুলে যান অভিযুক্ত স্বামী। একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে ছুরি দিয়ে কোপান তাঁকে। ভয়ংকর আঘাতে স্ত্রী নেতিয়ে পড়লে তাঁকে জ্যান্ত কবর দেন স্বামী।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় নোটে ছাপা হোক লক্ষ্মী-গণেশের মুখ, মোদির কাছে আরজি কেজরিওয়ালের]
তবে ভাগ্যক্রমে তরুণীর হাতে ছিল একটি অ্যাপেল স্মার্টওয়াচ। ফলে চরম পরিণতি থেকে বেঁচে যান তিনি। পুলিশের এমারজেন্সি নম্বর ৯১১-এর অপরেটর জানান, এক মহিলা ফোন করেন। জড়ানো গলায় কোনরকমে বলতে পারেন, ‘কথা বলতে পারছি না’। বোঝা যাচ্ছিল তিনি যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ততক্ষণে অগভীর কবর থেকে কোনওভাবে উঠে আসতে সক্ষম হয়েছেন তরুণী। উদ্ধারকারীরা দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করেন।
[আরও পড়ুন: ব্যস্ত সময়ে ভিড় রাস্তায় তরুণীর পিছু নেওয়া অসম্ভব, আজব যুক্তিতে অভিযুক্তকে রেহাই আদালতের]
এই ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর অভিযুক্ত স্বামী কিয়ং আনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তরুণীর বাড়িতে অপরাধের বহু চিহ্ন মিলিছে। একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে অভিযুক্তের স্বামীর বিরুদ্ধে। যদিও কিয়ং আনকে আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবী দাবি করে, তাঁর মক্কেল মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তার জেরে এই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন। তবে বিচারক মন গলেনি বলেই জানা গিয়েছে। জামিন পাননি অভিযুক্ত কিয়ং আন।