সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) শ্রদ্ধা ওয়ালকর হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা এবার যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে খুন করল স্বামী। এর পর তরুণীর দেহ একাধিক টুকরো করে এলাকার বাইরে একটি জঙ্গলে ফেলে দিল অভিযুক্ত। এই কাজে তাকে সাহায্য করে আরও এক ব্যক্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরবর্তী তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঘটনার নৃশংসতায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের সিতাপুরের। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড ঘটে গত ৮ নভেম্বর। খুন হন বিবহিতা জ্যোতি আলিয়াস স্নেহা। জ্যোতিকে খুনে অভিযুক্ত তাঁর স্বামী পঙ্কজ মৌর্য। ১০ বছর আগে বিয়ে হয় পঙ্কজ-জ্যোতির। যদিও ইদানীং সম্পর্কের অবনতি হয়। পুলিশি জেরায় পঙ্কজ জানিয়েছে, স্ত্রী নিয়মিত মাদক নিত। এমনকী সে মাঝেমাঝে বাড়ি ছাড়া হত। এবং দিনের পর দিন অন্য একজনের বাড়িতে থাকত। এই নিয়ে অশান্তি লেগেই ছিল উভয়ের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: ‘গুজরাট দাঙ্গায় লাভ একমাত্র মোদির’, বললেন রক্তাক্ত সংঘর্ষের মুখ অশোক পারমার]
এর পরই গত ৮ নভেম্বরে স্ত্রীকে খুন করে পঙ্কজ মৌর্য। এই কাজে তাকে সাহায্য করে দুর্জন পাসি নামের এক ব্যক্তি। খুনের পর জ্যোতির দেহের একাধিক টুকরো করে পঙ্কজ ও দুর্জন। এবং তা স্থানীয় জঙ্গলে ফেলে দেয়। পরে গুলহারিয়া একটি জঙ্গল থেকে জ্যোতির দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত পঙ্কজ মৌর্য ও দুর্জন পাসি দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ভোটপ্রচারে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে জাদেজার ছবি, বিতর্কে অলরাউন্ডারের স্ত্রী]
এদিকে মঙ্গলবারই দিল্লির নিম্ন আদালতে শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে (Shraddha Walkar) খুনের কথা স্বীকার করেছে আফতাব আমিন পুণাওয়ালা (Aftab Amin Poonawala)। জানিয়েছে, রাগের মাথায় প্রেমিকা শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করেছিল সে। আফতাবের এই ‘রাগ’ যে পুরনো তা বুধবার রীতিমতো তথ্য প্রমাণের আকারে প্রকাশ্যে এসেছে। দু’বছর আগেই আফতাবের নামে পুলিশে লিখিত অভিযোগ করেছিল শ্রদ্ধা। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, আফতাব তাঁকে মারধর করে। এমনকী কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। দু’বছর পর বাস্তবে সেই কাজ করে আফতাব।