সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ে কয়েক হাজার শিক্ষকের 'যোগ্যতা' ও 'অযোগ্যতা' নিয়ে কঠিন প্রশ্ন উঠেছে। এই অবসরে বলাই যায়, শিক্ষকতা কেবলমাত্র অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হতে পারে না। হলে সমাজের জন্য তা রীতিমতো বিপজ্জনক। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) একাধিক স্কুলের ঘটনা সেই প্রশ্নই কি তুলছে? কদিন আগে যোগীরাজ্যের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ওই স্কুলেরই এক শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। এবার একজন শিক্ষিকা দেরি করা আসায় তাঁকে চড় মারার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। দুই শিক্ষিকার বচসা এবং হাতাহাতির ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। যা দেখে নিন্দায় সরব হয়েছে নেটদুনিয়া।
আগ্রার সিগানা গ্রামের প্রি-সেকেন্ডারি স্কুলের ঘটনা। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গুঞ্জন চৌধুরী নামের ওই শিক্ষিকাকে মারধর করেন। এইসঙ্গে তাঁর জামা ছিড়ে দেওয়ারও চেষ্টা করেন। ভাইরাল ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল) দেখা গিয়েছে,শিক্ষিকার উপর চড়াও হয়েছেন প্রিন্সিপাল। একচোট মারধরের পর শিক্ষাকার কুর্তি টেনে ধরেছেন। শিক্ষিকা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন। কাছেই থাকা প্রিন্সিপালের ড্রাইভার দুজনের গোলমাল থামানোর চেষ্টা করেন।
[আরও পড়ুন: ৭০০ গাড়ি নিয়ে ব্রিজভূষণের পেশি প্রদর্শন! ভোটের বেসাতিতে চাপা পড়ল অ্যাথলিটদের কান্না?]
তৃতীয় একজন শিক্ষক গোটা ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। সংর্ঘষের মধ্যেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'ভিডিও করা হচ্ছে। বাজে ব্যবহার করছেন। এই ব্যবহার কি আপনাকে মানায়।' ধস্তাধস্তির সময় দুই শিক্ষিকা যে ভঙ্গিতে কথোপকথন চালান, তা স্কুলে ব্যবহার করা যায় না, শিক্ষকদের মুখেও মানায় না বলেই জানাচ্ছেন গন্ডোগোলের সময় উপস্থিত অন্য শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: ‘আগে রায়বরেলিতে জিতুন, তার পর…’, আচমকাই কাসপারভের খোঁচা রাহুলকে!]
শিক্ষিকাকে বলতে শোনা যায়, 'সাহস থাকলে গায়ে হাত তুলে দেখ, তুই আর তোর ড্রাইভার আমার কী করবি!' পালটা প্রিন্সিপাল বলেন, 'এখানে কারও দাদাগিরি চলবে না।' পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরে থানায় গিয়ে আহত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রিন্সিপাল। ভিডিও দেখে নিন্দায় সরব হয়েছে নেটিজেনরা। সকলেই বলছেন শিক্ষকদের থেকে এই আচরণ মানা যায় না। প্রশ্ন উঠছে দুই শিক্ষিকার 'যোগ্যতা' নিয়ে।