সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবের পর এবার উত্তরাখণ্ড। ভোটের মুখে আরও এক রাজ্যে গ্যাঁড়াকলে কংগ্রেস (Congress)। উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা হরিশ রাওয়াত (Harish Rawat) এবার বেসুরো গাওয়া শুরু করলেন। রাওয়াতের বক্তব্য, যে দলীয় সংগঠনের তাঁকে সাহায্য করার কথা, তারাই এখন তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এমনকী রাজনীতি থেকে অবসরের ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
বস্তুত, উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হরিশ রাওয়াত। এর আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর কুরসিতেও বসেছেন তিনি। কিন্তু এবার ভোটের মুখে দলের গোষ্ঠীকোন্দল এড়াতে রাওয়াতকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করেনি কংগ্রেস। এমনকী এই মুহূর্তে তিনি উত্তরাখণ্ডের প্রদেশ সভাপতিও নন। সম্ভবত সেকারণেই গোঁসা হয়েছে একদা ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) ছায়াসঙ্গীর। বুধবার একগুচ্ছ টুইটে তিনি অভিযোগ করেছেন, দলের সংগঠনের তরফে তাঁকে কোনও সাহায্য করা হচ্ছে না। উলটে তাঁকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। টুইটে তিনি বলেছেন, “আমাকে কুমির ভরতি পুকুরে সাঁতার কাটতে বলা হচ্ছে। অথচ, যাঁরা নির্দেশ দিচ্ছে তাঁদেরই সাঙ্গপাঙ্গরা আমার হাত-পা বেঁধে দিচ্ছে।” এমনকী, রাওয়াত এও বলেন, যে মাঝে মাঝে তাঁর মনে হয়, এবার বিশ্রাম নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘গো সেবা অন্যদের কাছে অপরাধ হতে পারে, আমাদের কাছে গর্ব’, উত্তরপ্রদেশে বললেন মোদি]
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার এই টুইটের পর কংগ্রেস সংসারে রীতিমতো আগুন জ্বলে যায়। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ (G-23) নেতারা এমনিতেই গান্ধী পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ পেলে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হল না। পাঞ্জাবের কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি টুইট করে বলে দেন, ”অসম, পাঞ্জাবের পর উত্তরাখণ্ডেও কংগ্রেসকে শেষ করে দিচ্ছে ওরা। কংগ্রেসকে শেষ করতে কোনও চেষ্টাই বাকি রাখছে না।” তাঁর নিশানা যে গান্ধী পরিবারের দিকেই, সেটা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন: বন্ধুর সঙ্গে ঝগড়া, খুন করে দেহ খণ্ড খণ্ড করল কিশোর! হাড়হিম ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায়]
এসব নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখনই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা রাওয়াতের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারপরই খানিকটা সুর নরম করেছেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের বিতর্কের কোনও কারণ নেই। যে টুইট তিনি করেছেন, সেটা রোজনামচা। সেখানে আপ এবং বিজেপি (BJP) ‘লেবু-লবণ’ মাখিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে।