সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মীয় গোড়ামি, দলিত অত্যাচার, পণপ্রথা, গার্হস্থ্য হিংসার ভারতে চমকে দিলেন এক পিতা। কন্যার প্রথম ঋতুস্রাবের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখলেন তিনি। কেক এনে, বেলুন দিয়ে ঘর সাজিয়ে ধুমধাম করে পালন করলেন। এমনকী অজস্র উপহারে ভরিয়ে দিলেন ঋতুমতী মেয়েকে। আদতে এই সব করেই আলোকবার্তা দিলেন ভ্রান্ত আধারে থাকা সমাজকে। মুখেও বললেন, “অস্পৃশ্য অসুখ নয়। ঋতুস্রাব আসলে আনন্দের দিন।”
ঋতুস্রাব বা পিরিয়াড বিষয়টিকে ঢেকেচেপে রাখাই সমাজের চলতি নিয়ম। নারী শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া নিয়ে শুভ-অশুভর ট্যাবুও রয়েছে। প্রাচীনপন্থী সেই ভাবনাকেই সাহসের সঙ্গে ভেঙে দিলেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উধমসিংহ নগরের কাশীপুর সিটি এলাকার বাসিন্দ জিতেন্দ্র ভট্ট। যিনি পেশায় সঙ্গীত শিক্ষক। সম্প্রতি জিতেন্দ্রর কন্যা প্রথমবার ঋতুমতি হয়। কিশোরী কন্যার প্রথম ঋতুস্রাবের সেই দিনটিকেই উৎসবের মেজাজে পালন করলেন পিতা, পরিবার। এমনকী পড়শিরাও।
[আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসার আঁচ মিজোরামে! প্রশ্নের মুখে শরণার্থীদের নিরাপত্তা]
সঙ্গীত শিক্ষক জানিয়েছেন, ভ্রান্ত ধারণা দূর করতেই তার এই উদ্যোগ। তাঁর কথায়, এই বিষয়টিকে নিয়ে মেয়েদের ছোট করে হয়। পিরিয়ড নিয়ে কথা বলেন না কেউ। এই সময় মেয়েরা কিছু স্পর্শ করলে তা অশুভ বলেও মনে করা হয়। তাই আমার নিজের মেয়ের প্রথম পিরিয়ডের দিনটি উদযাপন করে ভ্রান্ত ধারণা দূর করতে চেয়েছি। এর সঙ্গে শুভ-অশুভের সম্পর্ক নেই, তাও জানিয়েছেন জিতেন্দ্র। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদেরও বক্তব্য, ঋতুস্রাবের কারণে মন্দিরে যাওয়া কিংবা পুজো দেওয়ায় বাধা থাকতে পারে না। এর সঙ্গে পবিত্র-অপিত্রের সম্পর্ক নেই। এই বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা প্রয়োজন।