সংবাদ প্রতিদন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিদ্বারে (Haridwar) ধর্ম সংসদে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক দিয়েছিলেন যতি নরসিংহানন্দ (Yati Narsinghanand)। ওই ঘটনায় স্বামী ধর্মদাস, সাধ্বী অন্নপূর্ণা এবং সম্প্রতি ওয়াসিম রিজ়ভি থেকে ধর্মান্তরিত জিতেন্দ্র নারায়ণ সিং ত্যাগীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এদিন ওয়াসিম রিজভি জিতেন্দ্র ত্যাগীকে (Wasim Rizvi Alias Jitendra Tyagi) আটক করল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আগেই হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ধর্মান্তরিত জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল উত্তরাখণ্ডে। হরিদ্বার কোতোয়ালিতে ত্যাগীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন গুলবাহার খান নামের এক ব্যক্তি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ত্যাগীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। উল্লেখ্য, আগেই যতি নরসিংহানন্দকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একই মামলায়।
[আরও পড়ুন: হরিদ্বারের ধর্মসভায় সংখ্যালঘুদের খুনের হুমকি! বক্তাদের শাস্তির দাবিতে কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের]
এদিন উত্তরাখণ্ড পুলিশের তরফে হিন্দিতে একটি টুইট করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে হিংসার উসকানি দেওয়া হয়েছিল সেদিন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও পড়ে। সেই অভিযোগে ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র ত্যাগীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে হরিদ্বার কোতোয়ালিতে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, হরিদ্বারের ধর্ম সংসদের ঘটনার পর উলটো চিত্রের সাক্ষী হয়েছিল আন্তর্জাতিক মঞ্চ। সাধারণত সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে সরব হয় ভারত। এক্ষেত্রে হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে (Haridwar Dharma Sangsad) মুসলিম নিধনের বার্তা দেওয়া নিয়ে ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠিয়েছিল পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: হরিদ্বারে মুসলিমদের বিরুদ্ধে হিংসার বার্তায় উদ্বিগ্ন পাকিস্তান! তলব ভারতীয় কূটনীতিককে]
এছাড়াও রায়পুরের একটি ধর্মসভার বক্তৃতায় মহাত্মা গান্ধীকে (Mahatma Gandhi) অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল স্বঘোষিত ধর্মগুরু কালীচরণ মহারাজের (Godman Kalicharan Maharaj) বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল ওই ‘ধর্ম সংসদ’-এ গান্ধীজির হত্যাকারী নাথুরাম গডসের (Nathuram Godse) প্রশংসা করেছিলেন তিনি। কালীচরণ মহারাজের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন রায়পুরের প্রাক্তন মেয়র। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভঙ্গের অভিযোগে মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। পরে খাজুরাহো থেকে গ্রেপ্তার হন কালীচরণ।