shono
Advertisement

ধস নামতেই সুড়ঙ্গে গুমোট অন্ধকার! কীভাবে বাইরে খবর পাঠালেন শ্রমিকরা?

১৮ ঘণ্টা ঘুটঘুটে অন্ধকারে কাটান শ্রমিকরা।
Posted: 07:56 PM Nov 29, 2023Updated: 07:56 PM Nov 29, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গ থেকে একে একে বেরিয়ে আসেন ৪১ জন শ্রমিক। সেই খবর জেনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে গোটা দেশ। ১৭ দিনের যুদ্ধ শেষে আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে সুড়ঙ্গের ভিতরে কাটানো ভয়ংকর সব অভিজ্ঞতার কথা জানাচ্ছেন শ্রমিকরা। যার মধ্যে অন্যতম, আচমকা ধস নামার পর সুড়ঙ্গের বাইরে কীভাবে খবর পাঠালেন তাঁরা।

Advertisement

এই বিষয়ে এনডিটিভিকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ৪১ জনের অন্যতম অখিলেশ সিং। তিনি জানান, ১২ নভেম্বর ভোরে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় করছিলেন। তখনই বিকট শব্দে ধস নামে। আটকে যায় সুড়ঙ্গের মুখ। নিমেষে ঘুটঘুটে অন্ধকার নামে ‘পাতাল গহ্বরে’। এই পরিস্থিতিতে প্রায় ১৮ ঘণ্টা কাটাতে হয় অখিলেশদের। শুরুতে বেজায় ভয় পেয়েছিলেন ওঁরা, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কারণ বাইরের কেউ জানত না ধস নামার কথা। তার পর?

 

[আরও পড়ুন: কাটল পাক যুবকের মোহ? আচমকা ভারতে ফিরলেন ‘পাকিস্তানি বধূ’ অঞ্জু]

কাজে আসে সুড়ঙ্গের কাজের আগের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ। যেখানে সেখানে হয়েছিল, এমন বিপদে পড়লে জলের সঙ্কেত পাঠাতে হবে বাইরে। এই কৌশলই কাজে লাগান শ্রমিকরা। বাইরে জলের সঙ্কেত পাঠাতে সুড়ঙ্গের ভিতরের একটি জলের পাইপ খুলে দেন তাঁরা। এতেই বাইরে থাকা শ্রমিক ও আধিকারিকরা বুঝতে পারেন কী ঘটেছে। তড়িঘড়ি শুরু হয় উদ্ধারকাজ।

 

[আরও পড়ুন: শ্রমিকরা যখন আটকে, রাহুল-প্রিয়াঙ্কা তখন নাচছে! পরিবার তুলে কটাক্ষ হিমন্তের]

এনডিটিভি দেওয়া সাক্ষাৎকারে অখিলেশ আরও জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গে আরও বেশ কিছু দিন আটকে থাকতে হবে বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। আগামী ২৫ দিনের খাবারও মজুত ছিল। যদিও অন্ধকার দীর্ঘায়িত হয়নি। অখিলেশ জানিয়েছেন, আপাতত কাজ নয়। মাস দুয়েকের ছুটি নেবেন। তার পর নতুন করে ভাববেন, কী করা যায়। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement