সুমন করাতি, হুগলি: ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্য! ভরসন্ধেয় তরুণীর মোবাইল ছিনতাই করে রাস্তা ধরে দৌড়চ্ছে যুবক। পিছু ধাওয়া করে তাকে পাকড়াও করেন তরুণী। স্থানীয়রা ততক্ষণে ভিড় জমান। যুবককে মারধরও করা হয়। মারমুখী জনতার হাত থেকে রেহাই পেতে যুবকের যুক্তি শুনে হতবাক প্রায় সকলেই। চোর সন্দেহে ধৃত যুবকের দাবি, তরুণীর হাত থেকে মোবাইল ছিনতাই করেননি। আসলে বন্ধুর সঙ্গে রিলস তৈরি করছিলেন। রিলসের চিত্রনাট্য অনুযায়ী তরুণীর হাত থেতে মোবাইল ছিনিয়ে নেন।
উত্তরপাড়া কলেজ মোড়ের সামনে বহুজাতিক সংস্থার বিপণিতে কাজ করেন ভদ্রকালীর বাসিন্দা ওই তরুণী। বুধবার সন্ধেয় কাজ শেষ করে বেরন। টোটো ধরার জন্য জিটি রোডের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বাড়িতে ফোন করবেন বলে ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করেন। হঠাৎই এক যুবক ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তরুণীর দাবি, ওই যুবক তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেন। তরুণীও ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন। যুবককে পিছু ধাওয়া করেন। 'চোর, চোর' বলে চিৎকার করতে থাকেন। তরুণীর হাত থেকে রেহাই পেতে জিটি রোড থেকে একটা গলির ভিতর ঢুকে পড়েন যুবক।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশে শান্তি ফেরাতে পারবেন ‘বাংলার জামাই’ ইউনুসই’, আশা শ্যালকের]
ওই গলিতে থাকা স্থানীয়রা যুবককে ধরে ফেলে। তরুণীর মোবাইল উদ্ধার হয়। উত্তমমধ্যম মারধরও করা হয় যুবকের। খবর পেয়ে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। থানায় নিয়ে যাওয়া হয় তরুণী ও যুবককে। আতঙ্কিত তরুণী পুলিশি নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করার দাবি জানান। তবে ওই যুবকের যুক্তি শুনে কার্যত হতবাক পুলিশ। যুবকের দাবি,"বন্ধুর কথায় মোবাইল ছিনিয়ে ছুট দিই রিলস বানানোর জন্য। প্রথমবার এমন করেছি। আমাকে মারতে দেখে বন্ধু পালিয়ে গিয়েছে।" যুবকের দাবি আদৌ সত্যি কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম শাহাবাজ খান। তিনি হাওড়ার মালি পাঁচঘড়া থানা এলাকার বাসিন্দা।