সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সে যেন মানুষ নয়, 'ভ্যাম্পায়ার'! কেনিয়ার ৩৩ বছরের কলিন্স খালুসাকে নিয়ে তাই মত পুলিশের। কেননা ৪২ জন মহিলাকে খুন করা, তার পর তাদের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া- এই কাজ কী করে একজন মানুষ করতে পারে, সেটাই ভেবে পাচ্ছে না তারা! এমনকী, নিজের স্ত্রীকেও নাকি রেয়াত করেনি সে। তার বাড়িতে তল্লাশি করে মিলেছে কুড়ুল, বাণিজ্যিক রবার গ্লাভস, সেলোটেপের রোল, বস্তা ইত্যাদি। যা দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত কলিন্স একজন সাইকোপ্যাথ সিরিয়াল কিলার। ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে সে নিজের অপরাধ কবুল করে নিয়েছে বলেই সংবাদমাধ্যম সূত্রের দাবি।
নাইরোবির মুকুরি বসতির আবর্জনা ফেলার জায়গায় ৯ জন মহিলার টুকরো দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছিল পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়। এলাকার আশপাশের বাড়িতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে থাকে। অবশেষে সন্ধান মেলে কলিন্সের। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় নিজের অপরাধ কবুল করে সে। ধীরে ধীরে আবিষ্কৃত হয় ২০২২ সাল থেকে এই 'কাণ্ড' করে আসছে সে। একে একে ৪২ জনকে খুন করে কেটে টুকরো বস্তায় ঢুকিয়ে ফেলে এসেছে আবর্জনার স্তূপে! দেখা গিয়েছে একমাত্র একজনের দেহ অবিকৃত রয়েছে। বাকিদের সকলেরই দেহ খণ্ডিত হওয়ায় এখনও অনেককে শনাক্ত করা যায়নি।
[আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশে বড় চমক, মমতার সঙ্গে মঞ্চে থাকছেন অখিলেশ]
কেনিয়ায় (kanya) এখন এক অস্থির পরিস্থিতি। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং লিঙ্গবৈষম্য থেকে সৃষ্টি হওয়া হিংসার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর মধ্যেই সামনে এসেছে কলিন্সের বিষয়টি। সেই সঙ্গে সমালোচিত হচ্ছে পুলিশের 'অপদার্থতা'র দিকটি। কী করে একের পর এক মহিলার নিরুদ্দেশ হওয়ার অভিযোগ জমা পড়ার পরও সেভাবে তদন্ত হল না, উঠছে প্রশ্ন।