সুব্রত বিশ্বাস: বন্দে ভারতে (Vande Bharat Express) নাশকতার ছক! রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার কাছে ফিশ প্লেট খুলে রাখা হয়েছিল। এমনকী, লাইন যুক্ত করার হুকও খোলা ছিল বলে অভিযোগ। ওই লাইন ধরেই জয়পুর থেকে উদয়পুর যাচ্ছিল বন্দে ভারতটি। ট্রেনের চালক ও কেবিন ক্রু তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল ট্রেনটি। প্রাণে বাঁচলেন যাত্রীরা। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা তদন্ত করে দেখছে রেল।
রাজস্থানের উদয়পুর-জয়পুর রুটে চলছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এদিন রোজকার মতোই উদয়পুর থেকে ছেড়েছিল ট্রেনটি। ৯টা ৫৫ মিনিট নাগাদ রাজস্থানের ভিলওয়াড়া এলাকায় ট্রেন চালক দেখেন রেল লাইনের উপর পাথর পড়ে রয়েছে। তা দেখেই এমারজেন্সি ব্রেক কষেন চালক। সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। এরপর চালক ও কেবিন ক্রুর নেমে দেখেন রেল লাইনের ফিশ প্লেট খোলা রয়েছে। শুধু তাই নয় খোলা ছিল লাইনের হুকও। চালক তৎপর না হলে এদিন বড়সড় দুর্ঘটনার কবলে পড়ত বন্দে ভারতের যাত্রীরা।
[আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিন তৈরির পুরস্কার, চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল জয় দুই বিজ্ঞানীর]
উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে একই কায়দায় জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসেও নাশকতা ঘটানো হয়েছিল। লাইনের ফিশ প্লেট খুলে রাখায় ২০১০ সালের ২৮ মে পশ্চিম মেদিনীপুরে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। লাইনচ্যুত বগিতে একটি চলন্ত মালগাড়ির ধাক্কা লাগায় মোট ১৪১ জন যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। অন্তর্ঘাত না বোমা বিস্ফোরণের ফলে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। তদন্ত করছে সিবিআই। সেই একই কায়দায় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের লাইনে ফিশ প্লেট খোলা ছিল এদিন।