সুব্রত বিশ্বাস: ফের বিতর্কে বন্দে ভারত। শুরুর সপ্তাহেই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেকখানি দেরি করে ছাড়ল সেমি-হাইস্পিড ট্রেনটি। যার জেরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা।
পয়লা জানুয়ারি বঙ্গে যাত্রা শুরু হয় হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express)। কিন্তু বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না এর। উদ্বোধনের দিন থেকেই লাগাতার একের পর এক ঘটনা ঘটছে এক্সপ্রেসকে কেন্দ্র করে। কখনও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তো কখনও ট্রেনকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে পাথর। শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টারও পর যাত্রা শুরু করে এই ট্রেন। রেল সূত্রে খবর, বেলা ৩টে ৫ মিনিটে এনজেপি স্টেশন থেকে ট্রেনটির রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা ছাড়ে ৪টে ১২ মিনিট নাগাদ। স্বাভাবিক ভাবেই এতটা দেরি করায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। স্টেশনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এত টাকা দিয়ে টিকিট কাটার পরও কেন সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন না? এমন প্রশ্ন তুলেই রেলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা।
[আরও পড়ুন: বিচারকের রায় শোনার পরই এজলাস ছেড়ে পালাল ধর্ষণে অভিযুক্ত আসামি, কাটোয়ায় শোরগোল]
কিন্তু কেন এদিন দেরি করে ছাড়ে বন্দে ভারত? রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন ও কারশেডের পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছে। সেই কারণে এই শাখায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। একইরকম ভাবে তাই বন্দে ভারত ছাড়তেও দেরি হয়। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল জানিয়েছে, এই এক্সপ্রেসটি ছাড়তে যে দেরি হবে, তা নোটিস ও বিজ্ঞাপন দিয়ে আগেই জানানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, এনজেপি স্টেশনে ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলায় রাজধানী, বন্দে ভারতের মতো কয়েকটি ট্রেনই যাতায়াত করছে। প্রায় ২০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ১৬টি ট্রেনকে ঘুরিয়ে গন্তব্যে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু রেলের দাবিতেও থামেনি যাত্রী বিক্ষোভ। স্টেশন মাস্টারের কাছে অভিযোগ জানান তাঁরা। প্রশ্ন করেন, অনেক রাতে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছবে বন্দে ভারত। সেক্ষেত্রে কীভাবে নিজেদের গন্তব্যে ফিরবেন তাঁরা? কে দায়িত্ব নেবে? সব মিলিয়ে আরও একবার বিতর্কে জর্জরিত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।