সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাস্তুশাস্ত্র বলে বাড়ির প্রতিটি ঘর তৈরির ক্ষেত্রেই কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। পরিবারের শান্তি-সমৃদ্ধিতে ঘরেরও বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। শোওয়ার ঘর হোক বা ঠাকুর ঘর। রান্নাঘর হোক বা বাথরুম। সবকিছু জন্যই রয়েছে বাস্তুর নির্দেশিকা। প্রায় সকলেরই বাড়িতে ঠাকুরের জন্য আলাদা ঘর থাকে। বাস্তু মেনে এই ঘর তৈরি করা হলে তা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়। তাই ঠাকুরঘর বানানোর সময় এগুলি অবশ্যই খেয়াল রাখুন…
১. বাড়িতে যদি কম জায়গা থাকে রান্না ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে ঠাকুরের ঘর রাখুন। বাস্তুমতে, কোনও ঐশ্বরিক শক্তি উত্তর-পূর্ব দিক দিয়েই প্রবেশ করে। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে বেড়িয়ে যায়।
২. ঠাকুরঘরে কখনওই বেশি মূর্তি রাখবেন না। বিশেষ করে গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতীর দাঁড়ানো মূর্তি তো কখনওই রাখা ঠিক নয়।
৩. যখন পুজো করতে বসবেন মুখ রাখুন পশ্চিমে। ঘরের দরজা রাখুন পূর্ব দিকে। অত্যন্ত শুভ।
৪. কখনওই ঠাকুরঘর ও শৌচাগার পাশাপাশি যেন না হয়।
৫. ঠাকুরঘরের নিচে কোনওরকম দাহ্যবস্তু (ইনভার্টার, মোটর মেশিন) রাখবেন না।
[ঘুম থেকে উঠে এগুলি করেন নাকি? সর্বনাশ!!!]
৬. ঠাকুরঘর যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখুন। যেন হাওয়া-বাতাস খেলে। সেই ঘরে বসলে কারও যেন কোনওরকম অস্বস্তি না হয়। কোনও চেয়ার, সোফা, মোড়া রাখবেন না। মাটিতে বসেই পুজো করুন।
৭. সবসময় মাথায় রাখুন, ঠাকুরঘর প্রশান্তির জায়গা। সবরকম হট্টগোল থেকে এই ঘরকে দূরে রাখুন। ঠাকুরঘরে মৃদু আলো জ্বালান। যাতে অন্ধকার কাটবে, অথচ চোখ ধাঁধিয়ে যাবে না। চেষ্টা করুন হলুদ আলো জ্বালানোর।
৮. এমন অনেকেই আছেন যাঁরা এক কামরার ফ্ল্যাটেই নিজের সংসার সাজিয়ে নিয়েছেন। আলাদা করে ঠাকুরঘর বানানোর জায়গা নেই। বাস্তু বলছে, দেওয়ালে তিন ফুট উঁচু জায়গায় সাদা পাথর রেখে পুজোর জায়গা বানিয়ে নিন। সম্ভব হলে একটা সাদা পর্দা দিয়ে তা ঢেকে দিন।
৯. সন্ধেবেলা ঘরে প্রদীপ জ্বালাতে ভুলবেন না। বাস্তুশাস্ত্র মতে, এই সময় ঘরে মা লক্ষ্মীর আগমন ঘটে। যদি ঘর অন্ধকার থাকে ধনদেবী ঘর ছেড়ে চলে যান।
১০. তবে আয়োজন যতই হোক, ভক্তি আর বিশ্বাসই কিন্তু শেষ কথা। সেটিতে যেন কোনও খামতি না থাকে।
[এ কেমন সন্তান!!! ঘাবড়ে গেলেন মা নিজেই]
The post ঠাকুরঘরের ক্ষেত্রে এগুলি মানেন তো? তাহলে নিশ্চিন্তে থাকুন appeared first on Sangbad Pratidin.