দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: চিনের ধাঁচে বাহিনী গড়ে সুন্দরবনের বিভিন্ন দ্বীপে দ্বীপে করোনা মহামারী রুখতে চান সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি। ইতিমধ্যেই এই বাহিনী কাজ শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন দ্বীপাঞ্চলে। আগামী ৯ আগস্ট প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও মানুষকে এই বাহিনীতে শামিল করা হবে। আর এর ফলে দ্রুত করোনা রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া যেমন সম্ভব হবে তেমনি কমানো যাবে মৃত্যুর হার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় কান্তি গাঙ্গুলির কাজ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সমস্ত রাজনৈতিক দলের মানুষ। আয়লার পর আমফানে ও দেখা গিয়েছে বুড়োর খেল। এবার করোনা মোকাবিলায় নিজেই গড়লেন বাহিনী। ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সুন্দরবনের রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, মথুরাপুর এবং তার আশপাশ এলাকায় এই পরিষেবা দেবেন তারা। যার অবশ্য পোশাকি নাম “COVID-19 প্রতিরোধ বাহিনী।”
এই বাহিনীতে মূলত গ্রামীণ চিকিৎসক ও শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের রাখা হয়েছে। এদের সঙ্গে থাকছে মাস্ক, অ্যাম্বুল্যান্স, অক্সিজেন এবং স্যানিটাইজার। এই বাহিনী পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আবদুল মীর বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় করোনাতে মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু সেই সব বাড়িগুলি স্যানিটাইজ হচ্ছে না। বাড়িগুলিকে আমরা প্রাথমিকভাবে স্যানিটাইজা করে দিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি আক্রান্ত পরিবারের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি।” করোনা মোকাবিলায় চিন এবং কেরলে এরকম একাধিক বাহিনী তৈরি করা হয়েছে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে। আর তার ফলেই সেই সমস্ত এলাকাতে নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনা। দুই কমিউনিস্ট শাসিত এলাকা থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এবার নিজের বিধানসভা ও আশপাশ এলাকায় বাহিনী গড়লেন কান্তি গাঙ্গুলি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “মহামারীর সময় সরকার এককভাবে সব কাজ করতে পারবে না। তাই শুধু শুধু সরকারকে দোষারোপ করে কোনও লাভ নেই। সমস্ত মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে এই করোনা মোকাবিলায়।”
[আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ফের করোনায় রেকর্ড মৃত্যু বাংলায়, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ছুঁইছুঁই]
এই বাহিনী নিজেরা কোন চিকিৎসা পরিষেবা দেবে না। মূলত অক্সিজেন সরবরাহ করা অ্যাম্বুল্যান্স, মাস্ক, স্যানিটাইজার এই সমস্ত ব্যবহারের কাজ করে থাকবে তার। তবে কোনও রোগী করোনাতে আক্রান্ত হলে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের পরামর্শ মেনেই বিভিন্ন হাসপাতাল গুলোতে নিয়ে যাবে আক্রান্ত রোগীদের। এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস রায় বলেন, “করোনা মোকাবিলায় যে কোনও উদ্যোগই প্রশংসনীয়। মানুষের পাশে থাকার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে তাকে আমরা স্বাগত জানাব। আমাদের কাছে সাহায্য চাইলে আমরা তা দেওয়ার চেষ্টাও করব।”
[আরও পড়ুন: জাতীয় শিক্ষানীতির প্রতিবাদে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে SFI, প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো হবে গণচিঠি]
The post চিনের ধাঁচে বাহিনী গড়ে সুন্দরবনে করোনা সংক্রমণ রুখতে চান কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় appeared first on Sangbad Pratidin.