সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) পর শরদ পাওয়ার। ১০, রাজাজি মার্গের বাসভবনে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে দেখা করলেন এনসিপি সুপ্রিমো। বৈঠক শেষে পওয়ার জানিয়েছেন, বিরোধীদের একত্রিত করার যে কাজ শুরু হয়েছে, তাতে শামিল করতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালদেরও।
লাগাতার দু’দিন দুই হেভিওয়েট বিরোধী নেতার সঙ্গে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের বৈঠকের পর বিরোধী জোট নিয়ে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে। রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে পওয়ার-কংগ্রেস বৈঠককে কেন্দ্র করে সামনে আসছে দু’টি ব্যাখ্যা। একটি সূত্রের দাবি, বৈঠকে পাওয়ারের প্রশ্ন ছিল তিনি কংগ্রেসের পুরনো বন্ধু, ইউপিএ-র দীর্ঘদিনের সঙ্গী। তাহলে তাঁর বদলে কেন নীতীশকে ইউপিএ (UPA) চেয়ারপার্সন বা আহ্বায়ক করার কথা উঠছে? সাম্প্রতিক অতীতেও নীতীশের কংগ্রেস ও ইউপিএকে আক্রমণ করার নানা উদাহরণও তিনি দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: মাঝরাতে উপত্যকার আকাশে পাক ড্রোনের হানা! গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা]
রাজনৈতিক মহলের দাবি, আগেরদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) সঙ্গে নীতীশ কথা বলার পর এদিন পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করে শক্তিবৃদ্ধি করল বিরোধীরা। পরপর দুই হেভিওয়েট নেতার সঙ্গে বৈঠকের নির্যাস কী হয়, উত্তর দেবে সময়। তবে আপাতত রাজনৈতিক মহলে বৈঠকের পর বৈঠক এখন হটকেক।
[আরও পড়ুন: মুঘল যুগ ও গান্ধীর পর এবার পাঠ্যপুস্তক থেকে মোছা হল আবুল কালাম আজাদের নাম!]
বৈঠক শেষে দুই শিবিরই ঐক্যের বার্তা দিয়েছে। পওয়ার বলে দিয়েছেন,”আমি চাই সব বিরোধী নেতার সঙ্গে আলোচনা হোক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, আমাদের ওদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমরা সবাইকে নিয়েই এগোব।” পওয়ারের এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আসলে এই মুহূর্তে বিরোধী শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি মুখই কংগ্রেসের নেতৃত্বে জোটে আপত্তি জানাচ্ছে। আঞ্চলিক দলগুলি নিয়ে তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার একটা চেষ্টাও দেখা যাচ্ছে। পওয়ার চাইছেন, ঐক্যবদ্ধ একটাই ফ্রন্ট হোক। কংগ্রেস সভাপতি খাড়গেও এদিন বলেছেন, “আমরা খুশি পওয়ারজি মুম্বই থেকে এসে আমাদের পথ নির্দেশ করছেন। নীতীশজি, তেজস্বী যাদবজির সঙ্গে কথা হয়েছে আগেই, অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলব।”