সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপালের মধ্যে সাময়িক বিবাদের পর ফের সন্ধির ইঙ্গিত! এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য জট কাটাতে রাজ্যের ডাকে সাড়া দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে সায় দিলেন তিনি।
রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জটিলতা ছিল। তাঁদের নিয়োগপত্রে আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের সই ছিল না। তাঁদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) চাপের মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই সমস্যা মেটাতে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর। সোমবার বিকেলে এ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক হয় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। মঙ্গলবার ফের দীর্ঘ বৈঠক হয়। এদিন ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও ছিলেন বৈঠকে।
[আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিকে ২৩৫টি কেন্দ্র ‘সংবেদনশীল’ হিসেবে চিহ্নিত, জোর কড়া চেকিং ও সচেতনতায়]
বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, “নবান্ন, রাজভবন ও বিকাশ ভবন একযোগে কাজ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই আমি রাজভবনে এসে রাজ্যপালের সঙ্গে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করি। তার পরেই এই সমস্যার সমাধান হয়েছে।” শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যপালের (Govornor) সম্মতি নিয়েই যাঁদের নিয়োগ নিয়ে সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নিজেদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। এবং রাজ্যপাল তাঁদের কাজের মেয়াদ ৩ মাসের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। যার ফলে এদের প্রত্যেকের নিয়োগ বৈধ হয়ে গেল। মঙ্গলবার ৬ জন উপাচার্য এভাবে পদত্যাগ করে মেয়াদ বাড়িয়েছেন। আগামী দিনে বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির (University) উপাচার্যরাও সেটাই করবেন। যদিও এই সমাধান আংশিক। কারণ রাজ্যপালদের এই নিয়োগ স্থায়ী নয়।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়া পুলিশের DIB দপ্তরে অগ্নিকাণ্ড, গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্টের আশঙ্কা]
তবে এদিন বৈঠক শেষে রাজ্যপালও জানিয়েছেন, “শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব নয়। বাংলা নিজের শিক্ষা, সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। আমাদের সকলকে সেই জায়গা ধরে রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) যে আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলেন, সেটার জন্যও শিক্ষার উন্নতি দরকার। শিক্ষামন্ত্রীর মুখে এদিন যেখানে বারবার মুখ্যমন্ত্রীর নাম শোনা যাচ্ছিল, সেখানে রাজ্যপালের মুখে আবার শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নাম। যদিও ব্রাত্য বসু সেটাকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলছেন, ‘রাজ্যপাল সবার। কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের নয়। যদি কোনও কিছু থেকে থাকে, তা অতীত।’