অর্ণব দাস, বারাকপুর: জামিন পেলেন না অর্জুন সিংয়ের ভাইপো সঞ্জিত সিং ওরফে পাপ্পু। ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের মামলায় পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের পর বুধবার তাঁকে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হলে ফের বিচারক সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিন পাপ্পুকে আদালতে পেশ করার সময় ফের তিনি চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জিত সিং ওরফে পাপ্পু জানান, জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের তাঁকে গ্রেপ্তার করিয়েছে। সাংসদ অর্জুন সিং নিজেও এদিন এসেছিলেন বারাকপুর আদালতে। তিনিও চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। তবে সোমনাথ শ্যামের নাম করে কিছু বলেননি।
এদিন পাপ্পুকে কোর্টে নিয়ে আসার খবরে সকাল থেকেই আদালতে ভিড় জমিয়েছিল বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামীরা। সেইমতো আদালত চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। অর্জুন জানান, “পাপ্পু কী বলেছে সেটা আমি বলতে পারব না। তবে চক্রান্ত যে হয়েছে সেটা স্পষ্ট। পাপ্পুকে পাঁচদিন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ জোগার বা কোনও কিছু উদ্ধার করতে পারেনি।” তাঁর আরও দাবি, “আদালতেও পুলিশ পাপ্পুর বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি। আবার হেনস্তা করার জন্য পুলিশ এদিন পাপ্পুকে নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে। আইনের উপর আমার সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এর বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ব।” উচ্চ আদালতে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে বলেও এদিন জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: চেন্নাইয়ের আইওসি প্লান্টে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ, মৃত ১]
প্রসঙ্গত, বারাকপুরের সাংসদ এবং জগদ্দলের দলীয় বিধায়কের এই দ্বন্দ্ব নতুন নয়। তবে এই দ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দেয় ভাটপাড়া তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় অর্জুনকে সোমনাথ শ্যাম নিশানা করার পর। চলতি মাসের ২১ তারিখ অর্জুনের ভাইপো পাপ্পুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে সাংসদ-বিধায়কের দ্বন্দ্বের পারদ আরও চড়ে। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের এই গোষ্ঠীকোন্দলে অস্বস্তি বাড়ে শাসকদলের অন্দরে। তাই এই দ্বন্দ্বে ইতি টানতে অর্জুনকে এবিষয়ে মুখ খুলতে বারণ করেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।