সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বে প্রথম। ভারতের দৈনিক করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ৪ লক্ষের গণ্ডি। এর আগে বিশ্বের কোনও দেশে দৈনিক সংক্রমণ চার লক্ষের ধারেকাছেও যায়নি। আক্রান্তের এই রেকর্ড বৃদ্ধি কাঁপুনি ধরাচ্ছে। সেই সঙ্গে অক্সিজেনের (Oxygen) সরবরাহ কিংবা হাসপাতালের বেডের অভাব আরও প্রকট করে তুলছে পরিস্থিতির অসহায়তা। সংক্রমণের এই ভয়াবহ গ্রাস থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কী? আপাতত কয়েক সপ্তাহের লকডাউন (Lockdown)। এমনটাই মনে করছেন শীর্ষ মার্কিন মহামারী বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফসি। পাশাপাশি ভারত যে অনেক আগেই করোনার বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা করে ফেলেছিল, তাকেও কটাক্ষ করে তিনি জানিয়েছেন, এখনও বিপন্মুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ভারতকে।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যান্টনি এও জানিয়েছেন, কেবল লকডাউন নয়, অক্সিজেন, ওষুধ কিংবা পিপিই-র কোনও ঘাটতি যাতে না থাকে তাও নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু গত বছরের লকডাউনের ধাক্কায় দেশের অর্থনীতির মুখ থুবড়ে পড়া কিংবা পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা সকলেরই মনে আছে। এই অবস্থায় আবারও লকডাউন সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করলেও তা কি সবে মাথা তুলতে শুরু করা দেশের অর্থনীতিকে আবারও বড় বিপদের মুখে ফেলে দেবে না? এপ্রসঙ্গে অ্যান্টনি পরিষ্কার জানাচ্ছেন, ‘‘সত্যি বলতে কী, লকডাউন কেউই পছন্দ করে না। ৬ মাসের জন্য লকডাউন হলে তখন সমস্যা তো হবেই। কিন্তু সাময়িক ভাবে অন্তত কয়েক সপ্তাহের লকডাউনে সংক্রমণ অনেকটাই কমবে।’’
[আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার পরে এবার ফ্রান্স, ফের দেশের করোনা পরিস্থিতির জন্য আন্তর্জাতিক কাঠগড়ায় মোদি]
প্রসঙ্গক্রমে তাঁর মুখে উঠে আসে চিনেরও কথা। তিনি মনে করিয়ে দেন, গত বছরের একদম শুরুতে যখন চিনে ভয়াবহ সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছিল, তখন তারা সম্পূর্ণ লকডাউনের পথে হেঁটেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছিল। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই দেশের কয়েকটি রাজ্য লকডাউন ঘোষণা করেছে। পশ্চিমবঙ্গেও শনিবার থেকে আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, দেশব্যাপী লকডাউন হবে এই বিষয়ে শেষ পদক্ষেপ।
আপাতত সংক্রমণকে বাগে আনতে সংক্রমণ কমানোর কথা যেমন ভাবতে হবে, তেমনই অক্সিজেন থেকে শুরু করে কোনও কিছুর ঘাটতি যাতে না থাকে তাও নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে নাম না করেও মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘এটা মানতেই হবে সম্ভবত অনেক আগেই করোনার বিরুদ্ধে জয় ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছিল।’’ তাঁর মতে, যেহেতু এখনও পর্যন্ত দেশের মাত্র ২ শতাংশ মানুষ করোনা টিকা নিতে পেরেছেন, তাই এখনও মারণ ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে।