সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জলে ডুবে ‘মৃত্যু’ হয়েছিল স্পেনের (Spain) একটি গ্রামের। ৩০ বছর পর ভেসে উঠল সেই গ্রাম! তবে তীব্র খরার ফলে যা ভেসে উঠল, তাকে গ্রাম না বলে মৃত গ্রামের মমি বললেই ঠিক বলা হয়। তাতেই নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের মনে পড়ছে প্রিয় গ্রামটিকে ঘিরে হাজারও সুখ-দুঃখের স্মৃতি। অন্যদিকে ‘ফিনিক্স গ্রাম’ দেখতে হাজির হচ্ছেন পর্যটকরা।
জায়গাটা স্পেনের হলেও আদতে স্পেন-পর্তুগালের সীমান্ত এলাকা। গ্রামের নাম একেরেদো (Aceredo)। সেটা ১৯৯২ সাল। লিমা নদীতে বাঁধ (Alto Lindoso Reservoir) তৈরি করে প্রশাসন। তার ফলেই নদী তীরবর্তী একেরেদো ধীরে ধীরে জলের তলায় চলে যায়। গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হন বাসিন্দারা। তবু ভিটে-মাটির মায়া ছাড়ে না মানুষকে! তাই বলে এমনভাবে ফিরে আসবে সে? ফের দেখা দেবে গ্রাম? এতটাও ভাবেননি একেরেদোর কেউ।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকে কাঁধে নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতার কথা শুনেছেন? এর নেপথ্যে রয়েছে কুখ্যাত ডাকাতের গল্প!]
আসলে বিশ্ব উষ্ণায়নের আঁচ পড়েছে ইউরোপে। গত কয়েক বছরে মাত্রা ছাড়া গরম পড়েছে স্পেনে। খরার কবলে পড়ে উত্তর-পশ্চিম স্পেন। এই মন্দ আবহাওয়াই ম্যাজিক করেছে। নদীর জল শুকিয়ে ভেসে উঠেছে ৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক গ্রাম। ভেসে উঠেছে ছাদহীন ভাঙাচোরা বাড়ি, খানাখন্দের মতো রাস্তা, ভাঙা ইটের টুকরো, কাঠের স্তূপ। যার পরে দু’রকম ঘটনা ঘটেছে। একদিকে যেমন বহু কৌতূহলি মানুষ একেরেদোর ‘কঙ্কাল’ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন, তেমনই পুরনো গ্রামকে এভাবে ফিরে পেয়ে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: এবার স্কুলে ঢুকতেই হিজাব খোলার নির্দেশ কর্ণাটকের ছাত্রীদের, ভাইরাল ভিডিওতে বাড়ল বিতর্ক]
একেরেদোর এককালের বাসিন্দা ম্যাক্সিমিনিও পেরেজ রোমেরো বলেন, “যা ঘটল, তাকে সিনেমা বলে মনে হচ্ছে আমার। আর মন খারাপও হচ্ছে খুব।” প্রিয় গ্রাম ভেসে উঠেছে জেনে এক বৃদ্ধ এসেছিলেন স্পেন-পর্তুগাল সীমান্তে। তাঁর কথায়, “সবুজ গ্রাম ছিল আমাদের। কমলার বন ছিল। সুন্দর ছিল আমাদের গ্রাম।”
জানা গিয়েছে, সমগ্র স্পেনের ১০ শতাংশ এলাকাকে খরাপ্রবণ বলে ঘোষণা করেছে স্পেনের সরকার। যার মধ্যে রয়েছে একেরেদোও। একেরেদোর আনন্দ মেশানো দুঃখের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।