সুব্রত বিশ্বাস: বিনা টিকিটে ট্রেনে যাত্রা করা অপরাধ। অথচ দেশের মধ্যে এমন এক রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে, যেখানে টিকিট কেটেও মানুষজন ট্রেন যাত্রা করেন না। অদ্ভুত মনে হলেও এটা বাস্তব চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের দয়ালপুর রেল স্টেশন। পাঁচের দশকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সময় এই স্টেশনটি নির্মাণ হয়েছিল। তৎকালীন রেলমন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। দুই ব্যক্তিত্বর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতিহাসকে বাঁচাতে মানুষজনের এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। পাঁচের দশকে ট্রেন চলত সেখানে। ২০১৬ সালে স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করানো বন্ধ করে দেয় ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: ধূপগুড়ি হাতছাড়া হলেই চাপ বাড়াবে দিল্লি! উপনির্বাচনকে পাখির চোখ করে টানা প্রচারে সুকান্ত]
রেল জানিয়েছিল, ওই স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াতে গেলে দৈনিক ন্যূনতম ২৫টি টিকিট বিক্রি হতে হবে। কিন্তু তা না হলে দয়ালপুর স্টেশনে ট্রেন দাঁড় করানো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দীর্ঘ ছয় দশকের এই স্টেশনকে ফের সচল করার দাবি ওঠে। করোনা কালের পর ২০২২ সালে ফের স্টেশনটিকে হল্ট স্টেশনের তকমা দিয়ে চালু করে রেল। তবে পুরনো সিদ্ধান্ত বজায় রাখে। দিনে ২৫টি টিকিট বিক্রি হতেই হবে।
এরপর স্টেশনটিকে সচল রাখতে স্থানীয় মুরুব্বিরা সিদ্ধান্ত নেয়, যাত্রা না করলেও দৈনিক চাঁদা তুলে ২৫টি টিকিট কেনা হবে। স্টেশন বাঁচাতে। সেই মতো রোজ যাত্রা না করলেও চাঁদা দিতে হয় ট্রেনের টিকিট কেনার জন্য। যাত্রা না করলেও টিকিট কাটার রীতিতে এখন রেলের ঘরে অভিনব স্টেশন হয়েছে দয়ালপুর।