জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: দীর্ঘদিন নজরে থাকার পর অবশেষে সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েছেন বাগদার ‘সৎ রঞ্জন’। তার গ্রেপ্তারিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার মামাভাগ্নে গ্রাম। চাকরি চলে যাওয়ার আশঙ্কায় গ্রামবাসীদের একাংশ। ইতিমধ্যেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন তাঁরা।
শুক্রবার নিজাম প্যালেসে ‘সৎ রঞ্জন’কে তলব করেছিল সিবিআই। একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তবে আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে শেষমেশ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারির খবর গ্রামে পৌঁছনোর পর থেকেই ‘সৎ রঞ্জনে’র বাড়ি তালাবন্ধ। যদিও চাকরি দেওয়ার নামে যে ‘সৎ রঞ্জন’ প্রতারণা করেছেন, সে অভিযোগ মানতে নারাজ তার পরিবারের লোকজন। ‘সৎ রঞ্জনে’র ভাই বলেন, “উনি সাধারণ মানুষ৷ আর একজন সাধারণ মানুষ কখনও চাকরি দিতে পারে না৷ চাকরি দিতে পারেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা এবং মন্ত্রীরা৷”
[আরও পড়ুন: নিজের জামা ইস্ত্রি করতে গিয়ে বিপত্তি, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু কলকাতা পুলিশের কনস্টেবলের]
তবে ‘সৎ রঞ্জন’ যে আদতে প্রতারণা করেছেন, তা স্বীকার করছেন গ্রামবাসীদের একাংশ। অনেকেই জানান, “প্রথমে স্কুলে চাকরির দেওয়ার নাম করে চন্দন মণ্ডল ৩ লক্ষ টাকা নিত৷ পরবর্তী সময়ে টাকার অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ১২ লক্ষ টাকা৷” ‘সৎ রঞ্জনে’র পাতা ফাঁদে শুধু যে মামাভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দারা পা দিয়েছেন তা নয়। মেদিনীপুর-সহ গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা গ্রামে আসতেন বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁরা ‘সৎ রঞ্জনে’র হাতে তুলে দিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ‘সৎ রঞ্জনে’র গ্রেপ্তারির পর চাকরি হারানোর আশঙ্কায় দিন কাটছে অনেকেরই।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রভাবশালী লোকজনদের ছত্রছায়ায় ছিল বলেই ‘সৎ রঞ্জন’ চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়েছে। তাঁদের দাবি, ‘সৎ রঞ্জন’ এলাকায় কালীপুজো করতেন৷ ওই কালীপুজোয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী লোকজনের আনাগোনা ছিল। যদিও বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “চন্দন ওরফে ‘সৎ রঞ্জনে’র সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই৷”