রাজা দাস, বালুরঘাট: বাড়ি কাঁটাতারের ওপারে, অথচ ভোটার ভারতের। প্রতিবারই সীমান্ত পেরিয়ে তাঁরা ভোট দিতে আসেন দেশে। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। তবে উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিতে এলেও গ্রামবাসীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের (BSF) বিরুদ্ধে। সীমান্ত গেট পেরনো নিয়ে দিনভর জারি রইল জটিলতা। বিএসএফের অসহযোগিতায় অনেকে ভোট দিতে পারেননি বলেও অভিযোগ ওঠে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট লোকসভার কেন্দ্রের (Balurghat Lok Sabha seat) অন্তর্গত হিলির সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে পূর্ব আবতৈর, পশ্চিম আবতৈর, জামালপুর, গোবিন্দপুর, হাঁড়িপুকুর, উজাল, শ্রীকৃষ্ণপুর, সিধাই, গোসাইপুর, আগ্রা, বাসুদেবপুর, ধরেন্দা, তেলিয়াপাড়া-সহ অন্তত ১৫ টি গ্রাম। বুথ রয়েছে ২৫ টির মত। কাঁটাতারের ওপারে একটি বুথ থাকলেও বাকি বুথ কাঁটা তারের এপারে। সীমান্ত বা কাঁটাতারের গেট পেরিয়ে আসা ভোটদাতাদের সংখ্যা ছিল ১৭৭৩ জন। অভিযোগ, নিদিষ্ট পরিচয় পত্র থাকা স্বত্বেও সীমান্ত গেট পেরিয়ে ভোট দিতে যেতে বহু ভোটারকে বাধা দেয় বিএসএফ। ফলে সীমান্তের শতাধিক ভোটার এদিন নিজেদের ভোট দান থেকে বঞ্চিত হন বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: পাঁঠার মাংস না পেয়ে ক্যাটারিং কর্মীকে বেধড়ক মার, পালাতে গিয়ে কুয়োয় পড়ে মৃত্যু যুবকের!]
সীমান্তে বুড়া হিলি আবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮০ নম্বর বুথে ভোট দিতে আসা সারমিন বিবি এবং রবিউল ইসলাম জানান, তারা ওপারের হাঁড়ি পুকুর গ্রামের বাসিন্দা। গেটে অনেকক্ষণ আটকে রাখার পর তাঁদের ছাড়ে বিএসএফ। কিন্ত তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের এদিন গেটেই আটকে দেওয়া হয়। অভিযোগ, নিদিষ্ট পরিচয় পত্র দেখালেও তাঁদের ভোট দিতে যেতে দেওয়া হয়নি বিএসএফের তরফে।
[আরও পড়ুন: ‘NDA-র বিপুল জনসমর্থনে হতাশা বাড়ছে বিরোধীদের’, দ্বিতীয় দফা শেষে জয়ের হুঙ্কার মোদির]
বালুরঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, "শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং বিএসএফ একাধিক জায়গায় ভোটারদের ভয় দেখিয়েছে। এমনকী ভোটদানে অসহযোগিতা করেছে। বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারও কিছু জায়গায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছিলেন, যদিও তা ব্যর্থ হয়েছে।" বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, "প্রথম থেকেই তৃণমূল বুথ জ্যাম করার চেষ্টা করে। আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। হরিরামপুরে চক্রান্ত করে মহিলাদের নাম কাটা হয়েছে তালিকা থেকে। এসব বিষয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাচ্ছি।"