সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে (Mexico Border City) রেনোসা শহরে মাফিয়াদের গুলির লড়াইয়ে (Violence) ত্রস্ত শহরবাসী। এই ঘটনায় অন্তত ১৪ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের পালটা গুলিতে চার দুষ্কৃতী নিকেশ হয়েছে বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই মহিলাকে অপহরণ করে পালানোর সময় সাধারণ নাগরিককে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা।
মেক্সিকো সীমান্ত এলাকায় ড্রাগ মাফিয়াদের রাজত্ব। বিভিন্ন সময় গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত থাকে গোটা এলাকা। ড্রাগ মাফিয়াদের মধ্যে রোজকার লড়াই নতুন কিছু নয়। তবে এভাবে তাদের লড়াইয়ের মাঝে পড়ে আমজনতার মৃত্যুর ঘটনা নজিরবিহীনী। যার জেরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েছে।
[আরও পড়ুন: আপৎকালীন পরিস্থিতিতে আচমকাই বন্ধ ইরানের একমাত্র পরমাণু চুল্লি]
স্থানীয় সূত্রে খবর, মেক্সিকোর স্থানীয় সময়ানুসারে শনিবার সন্ধেয় একদল দুষ্কৃতী পথচারীদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। মৃত্যু হয় দোকান মালিক, নিরাপত্তারক্ষী, নার্সিং পড়ুয়াদের। গুলির ছোড়ার খবর শুনে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছোটেন পুলিশবাহিনী। তাদের ছোঁড়া গুলিতে চার সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীর মৃত্যু হয়। এমনকী, গাড়ির ভিতর থেকে দুই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। মনে করা হচ্ছে, তাদের অপহরণ করে পালানোর সময়ই গুলি ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় একজনকে আটকও করা হয়েছে। গোটা ঘটনার দ্রুত ব্যাখ্যা তলব করেছেন রেনোসা শহরের মেয়রও।
সীমান্ত লাগোয়া এই শহরের হিংসার জন্য ‘গাল্ফ কার্টেল’ মাফিয়া গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে মেক্সিকো সরকার। মাদক পাচারকারী এই গোষ্ঠীর সঙ্গে আমেরিকা, ইউরোপ, পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন মাফিয়াদের যোগাযোগ রয়েছে বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের শেষ দিকে মাফিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিক দল তৈরি হয়। তার পরই থেকেই নিজেদের অশান্তি শুরু করে গোষ্ঠীগুলি। এবার সেই গোষ্ঠীর ক্ষমতা প্রদর্শনের মাঝে প্রাণ গেল আমজনতার। যার জেরে বেজায় আতঙ্কে এলাকাবাসী।