সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়েতে তাড়া ছিল বেশি তরুণীরই। যুবক বরং আরও কিছুটা সময় চেয়েছিলেন। যদিও তরুণী এবং তাঁর মায়ের চাপাচাপিতে বাগদানের দিনক্ষণ নিয়েও কথা শুরু হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের কার্ডের নকশা নিয়ে আলোচনা করার জন্য দেখাও করতে চেয়েছিলেন উভয়ে। যদিও তার আগেই তুমুল অশান্তি। যুবকের বেতন জানতেই সব আদর, অদিখ্যেতা গায়েব হল। ভাঙল বিয়েও। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল দুপক্ষের চ্যাট বক্স।
সমাজমাধ্যমের পোস্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ম্যাট্রিমনিয়াল ওয়েবসাইটে আলাপ হয় তরুণ-তরুণীর। উভয়েই বিবাহবিচ্ছিন্না। নতুন সংসার পাতবেন বলে উৎসাহী ছিলেন দু’জনেই। যদিও তরুণের উপার্জন কম জানতে পেরে ঝগড়া শুরু করেন তরুণী। সেই চ্যাটের স্ক্রিনশটই সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন তরুণ। যা ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, বিয়ের জন্য, আংটিবদলের জন্য যুবককে তাড়া দিচ্ছেন তরুণী। পালটা তরুণ জানান, আমাদের আরও একটু সময় দেওয়া উচিত। যদিও নভেম্বর মাসেই আংটিবদলের প্রস্তাব দেন তরুণী। এর পর তাল কাটে যখন ওয়েবসাইটে তাঁর প্রোফাইলের একটি ভুলের কথা জানান যুবক। কী সেই ভুল?
যুবক জানান, তাঁর বার্ষিক আয় ৩০ লক্ষ নয়, ৩ লক্ষ টাকা। ভুলবশত একটা বাড়তি শূন্য পড়ে গিয়েছে। এর জন্য ক্ষমাও চান যুবক। অপরপক্ষে ভালো মানুষের খোলোস ঝেড়ে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন তরুণী। বিয়ে ভেঙে দেন তো বটেই, এইসঙ্গে অকথ্য ভাষায় যুবককে গালাগালি করতে শুরু করেন তিনি। মেয়ের সঙ্গে মা-ও যোগ দেন যুবককে হেনস্তায়। তিনি হুমকি দেন, যুবককে দেখে নেবেন। বলেন, আমি আমার প্রাক্তন জামাইয়ের কী অবস্থা করেছিলাম। তোমার পুরো পরিবারের নামে আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাব।
এর পরই বাঁক বদল হয় আলাপচারিতায়। যুবক জানান, তিনি বছরে ৩০ লক্ষ টাকাই উপার্জন করেন। আগে সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেব কাজ করছিলেন, এখন পেশায় উকিল। যুবক পালটা তরুণীর মাকে হুমকি দেন, হেনস্তা করলেই ব্যবস্থা নেবেন। সোশাল মিডিয়া পোস্টে যুবক দাবি করেন, প্রাক্তন জামাইকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে ৮০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন তরুণীর মা। স্বভাবতই যুবকের পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় তরুণী এবং তার মা-কে নিন্দা করেন নেটাগরিকরা।