সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইঁদুর দৌড়ের দুনিয়ায় বসের কড়া হুকুম, ডেডলাইনে কাজ শেষ করা চাই। শেষ করতে হবে যে কোনও মূল্যে। কর্মীটির প্রাণ গেলেও কিছু এসে যায় না! কারণ শো মাস্ট গো অন। ব্যক্তির মূল্য নেই, সংস্থাই সব, শিখিয়েছে আধুনিক সভ্যতা। তার বাস্তব চিত্র দেখা গেল বেঙ্গালুরু (Bengaluru) শহরের রাস্তায়। স্কুটি চালাতে চালাতে ল্যাপটপে কাজ করতে দেখা গেল এক ব্যক্তিকে। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমনই এক ছবি। ওই ব্যক্তির কাণ্ড দেখে মাথায় হাত পড়েছে নেটিজেনদের। মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
হর্সমিত সিং নামের এক ব্যক্তি ওই ছবিটি টুইট করেন লিঙ্কডিনে (Linkdin)। হর্সমিত জানিয়েছেন, ছবিটি বেঙ্গালুরুর শহরের একটি ফ্লাইওভারে রাত ১১টার ছবি। তখনও রীতিমতো ব্যস্ত রাস্তায় হাজারও যানবাহান যাতায়াত করছে। তার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুটি চালাতে চালাতে ল্যাপটপে কাজ করছেন ওই ব্যক্তি। ছবির সঙ্গে লম্বা ক্যাপশানে হর্সমিত লেখেন, “বেঙ্গালুরু শহরের তার চরম পর্যায় ছুঁয়ে ফেলেছে। শহরের অন্যতম ব্যস্ত ফ্লাইওভার, সেখানে একজন স্কুটি চালাতে চালাতে ল্যপটপে কাজ করছেন।”
[আরও পড়ুন: ১৫ দিন অন্তর শপিং, রবিবারে রান্না! বিয়ের আগে বরের সঙ্গে চুক্তি করলেন কনে]
এরপরেই কড়া সমালোচনার সুরে হর্সমিত লেখেন, “আপনি যদি একজন বস হিসেবে যে কোনও মূল্যে ডেডলাইন নিয়ে কর্মীদের আতঙ্কে রাখেন, তাহলে আরেকবার ভাবুন। ‘ইটস আর্জেন্ট’ কিংবা ‘ডু ইট এএসএপি’ বলার আগে দুবার ভাবুন। বিশেষত আপনি যদি একজন ক্ষমতাবান হন, তাহলে আপনার বক্তব্যের কতটা প্রভাব নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে পড়ে, তা ভেবে কিছুটা সংযত হন।”
[আরও পড়ুন: ফের আদানির বন্দর থেকে উদ্ধার মাদক, রহস্য ঘনাচ্ছে ৭০ কেজি হেরোইন নিয়ে]
বেঙ্গালুরুর এমন ছবি দেখে নেটিজেনদের একাংশ হর্সমিতের সুরেই সমালোচনা করেছে ডেডলাইন ইত্যাদি নিয়ে। আরেক দল অবশ্য স্কুটি চালক ব্যক্তিকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। এক নেটিজেনের মন্তব্য, “হয়তো ওর যখন কাজটা করা উচিত ছিল তখন করেনি, তাই এভাবেই কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে।” মজা করে আরও লেখেন, “ট্রিপল আর দেখার ফল!” একজন লেখেন, “আমিও রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাজ করেছি চাপে পড়ে। কিন্তু স্কুটি চালাতে চালাতে কাজ করা ঠিক হয়নি। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে কাজটা শেষ করে নিতে পারত।”