সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁদের স্বপ্নের রাজপ্রাসাদ একেবারে তৈরি। হ্যাঁ বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও অনুষ্কা শর্মার (Anushka Sharma) মনের খুব কাছের আলিবাগের রাজপ্রাসাদের কথা বলা হচ্ছে। এবার থেকে একটি সময় সুযোগ পেলেই কন্যা ভামিকাকে (Vamika Kohli) সময় কাটাবেন সেলিব্রিটি দম্পতি।
এই মুহূর্তে বিরুষ্কা (Virushka) থাকেন ওরলির ওমকার ১৯৭৩ (Omkar 1973) অ্যাপার্টমেন্টের ৩৬ তলায়। চার বেডরুমের ৭০০০ স্কোয়ারফিটের ফ্ল্যাটে টেরেস গার্ডেন, ব্যক্তিগত জিম ছাড়াও রয়েছে স্টেট-অফ-দ্য আর্ট অ্যামেনিটিস। লকডাউনের ১০ মাস সময় বিরুষ্কা এখানেই সময় কাটিয়েছেন। এবার বিরাট ছুটি পেলেই থাকবেন ওরলি থেকে সড়ক পথে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা দূরে আলিবাগ। মহারাষ্ট্রের এই উপকূলবর্তী শহরেই তৈরি হয়েছে বিরাটের লাক্সারি ভিলা। পাহাড়ে ঘেরা ১০ হাজার স্কোয়ারফুটের স্বপ্নের নির্মাণ ঘুরে দেখালেন এই প্রজন্মের অন্য়তম শ্রেষ্ঠ ব্য়াটার ও ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নামার আগে রোহিতের টিম ইন্ডিয়ার চাপ বাড়ল! কিন্তু কেন?]
কোহিলর বিরাট-বাড়ির একটি ভিডিও আপলোড করেছে ইনস্টাগ্রামে। সেখানেই টিম ইন্ডিয়ার মহাতারকা কথা বলেছেন তাঁর বাড়ি নিয়ে। যেখানে তিনি বলছেন, “আমাদের লিভিং রুমে আপনি কোনও টিভি পাবেন না। নেই কোনও বিনোদনের ব্য়বস্থাও। আমরা এখানে বসে কথা বলব। পরিবারের সঙ্গে একসঙ্গে কাটানোর জায়গা।” বিরাট জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে তিনি সেভাবে সময় কাটাতে পারেন না। তাই নিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত। তিনি বুঝিয়েই দিলেন যে, তাঁর কাছে পরিবার সবার আগে প্রাধান্য় পায়। বাকি সব পরে। বিরাটের বাড়ির নান্দনিকতা আলাদা করে নজর কাড়ছে। যেখানে প্রকৃতি নিজের জায়গা করে নিয়েছে। রয়েছে সর্বত্র সবুজের ছোঁয়া। ভিতরের সাজসজ্জাও মন শান্ত করে দেয়। বাড়ির মধ্যে রয়েছে বিস্তৃত কক্ষ। বিরাট তাঁর এই ভিলাকে হলিডে হোম হিসেবেই দেখছেন। ফের বলেছেন, “আমার কাছে ছুটি কাটানোর বাড়িতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, প্রবেশ করেন যে অনুভূতি পাওয়া যাবে। যা পুরোপুরি রিল্য়াক্স করে দেবে। একটা শান্তি বিরাজ করবে। বাড়ি থেকে দূরে যা বাড়িই মতোই হবে।”
জনপ্রিয়তার নিরিখে বিশ্বের প্রথমসারির অ্যাথলিটদের মধ্যে রয়েছেন ‘কিং কোহলি’। সোশাল মিডিয়াতে তাঁকে ২৫২ মিলিয়ন মানুষ ফলো করেন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা। কোনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার এত টাকা উপার্জন করেন না। বোঝাই যাচ্ছে দেশের অন্যতম ধনী জায়গায় এমন প্রাসাদ তৈরি করা তাঁর পক্ষে তেমন কঠিন ব্যাপার নয়।