সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিরিজ নির্ধারক ম্যাচে ওপেন করতে নেমেই গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। রোহিত শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দিতে সফল হন ক্যাপ্টেন। ৫২ বলে তাঁর অনবদ্য ৮০ রানের ইনিংসের সৌজন্যে বিরাট লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া। আর এই সাফল্যের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও রোহিতের সঙ্গেই জুটি বাঁধার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন ভারত অধিনায়ক।
লাগাতার ব্যর্থতার জেরে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ভারতের প্রথম একাদশে ঠাঁই হয়নি কেএল রাহুলের (KL Rahul)। পরিবর্ত হিসেবে শিখর ধাওয়ান কিংবা ঈশান কিষানকে না নিয়ে নিজেই ওপেন করার সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। আর বিশ্বের দুই সেরা ব্যাটসম্যান যখন একসঙ্গে ২২ গজে নামেন, তখন স্বাভাবিকভাবেই বিপক্ষ বোলারদের রাতের ঘুম ওড়ার কথা। হলও তাই। ৯ ওভারেই ৯৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তাঁরা। ব্যক্তিগত ৩৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে নয়া রেকর্ডের মালিক হয়ে যান রোহিত (Rohit Sharma)। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপ্তিলকে টপকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে গেলেন ভারতীয় দলের ‘হিটম্যান’। ৩ হাজারেরও বেশি রান নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন ক্যাপ্টেন কোহলি। তবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (৪) করার রেকর্ড রোহিতের ঝুলিতেই। তবে রোহিত-কোহলি জুটি সুপারহিট হওয়ায় দলে রাহুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েই গেল।
[আরও পড়ুন: বিরাট মাস্টারস্ট্রোকেই বাজিমাত, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচ ও সিরিজ জয় ভারতের]
ওপেনিং জুটির সাফল্যে উচ্ছ্বসিত কোহলি (Virat Kohli) ম্যাচের পর বলে দেন, “আমি বিশ্বকাপ আর আইপিএলেও ওপেন করব। আগেও একাধিক পজিশনে ব্যাট করেছি। কিন্তু আমাদের (ভারতীয় দলের) মিডল অর্ডার এখন বেশ শক্তিশালী। টি-টোয়েন্টিতে সেরা দুই ব্যাটসম্যান যদি সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বল মারার সুযোগ পায়, তাহলেই দলের জন্য ভাল। রোহিতের সঙ্গেই তাই ওপেন করব। আর আমাদের মধ্যে একজন থাকলে বাকিরাও আত্মবিশ্বাস পাবে। এই ধারাটাই বজায় রাখতে চাই।”
তবে জয়ের কৃতিত্ব নিজে নিতে নারাজ কোহলি। তাঁর কথায়, দলগত পারফরম্যান্সেই সাফল্য এসেছে। ঋষভ পন্থ আর শ্রেয়াস (আইয়ার) ব্যাট করতে না নামলেও দল প্রায় ২৩০ রান তুলে ফেলে। এটাই প্রমাণ করছে, কোনও একজনের উপর দল নির্ভরশীল নয়। “প্রত্যেকের ইতিবাচক বডি ল্যাঙ্গুয়েজটাই আমার ভাল লেগেছে। আর আজ রাতে ক্লাসিক রোহিত শর্মাকে দেখা গেল।” এভাবেই ‘পার্টনারে’র প্রশংসা শোনা গেল ক্যাপ্টেনের গলায়।