সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধুমাত্র বিরাট কোহলিকেই (Virat Kohli) যে ঝামেলায় ফেলেছিলেন গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) তা নয়, মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও (MS Dhoni) বুদ্ধিদীপ্ত ফিল্ডিং সাজিয়ে বশ মানিয়েছিলেন লখনউ সুপারজায়ান্টসের বর্তমান মেন্টর।
ধোনির সঙ্গে গম্ভীরের সম্পর্কও খুব ভাল নয়। ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে গম্ভীর সেঞ্চুরি পাননি। এর জন্য তিনি অবশ্য ধোনিকে দায়ী করেন।
[আরও পড়ুন: বোর্ডের করা জরিমানার টাকা মেটাবেন না কোহলি, গম্ভীরের কী হবে?]
কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা করেছেন গম্ভীর। আবার তাঁর বিরুদ্ধে কেকেআর দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঠিক তেমনই মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধেও নাইটদের ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি। সেই সময়ে ধোনিকে আটকে রেখেছিলেন গম্ভীর। বুদ্ধিদীপ্ত ফিল্ডিং সাজিয়েছিলেন ধোনির বিরুদ্ধে। গম্ভীরের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন ধোনি।
আইপিএলে আরও একবার ধোনি ও গম্ভীরের দেখা হল বুধবার। যদিও গম্ভীরের ভূমিকা বদলে গিয়েছে। ইরফান পাঠান এখন ধারাভায্যকার হয়ে গিয়েছেন। তিনি নিজে সামনে থেকে দেখেছেন গম্ভীরের সঙ্গে ধোনির মস্তিষ্কযুদ্ধ। সেই পাঠান জানাচ্ছেন, ধোনি ব্যাট করতে নামলে গম্ভীর টেস্ট ম্যাচের মতো ফিল্ডিং সাজাতেন। সুনীল নারিন, পীযূষ চাওলার মতো বোলারকে আক্রমণে আনতেন গম্ভীর। স্পিনের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং আগেও করেছেন ধোনি। কিন্তু আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজিয়ে স্পিনারদের ডাকা হলে ধোনি সহজ-সরল ব্যাটিং করতে পারতেন না।
পাঠান বলছেন, ”কেকেআরের অধিনায়ক থাকার সময়ে গৌতম গম্ভীর এমএস ধোনির অহং নিয়ে খেলত। ধোনি সেই ফাঁদে ধরা পড়ত।”
চেন্নাই সুপার কিংস নির্বাসিত হওয়ায় ধোনি চলে গিয়েছিলেন রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টসে। ২০১৬ সালে কেকেআর বনাম রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টস ম্যাচে চার উইকেট হারিয়ে একসময়ে ধুঁকছিল। সেই সময়ে ধোনি ব্যাট করতে নামেন। ধোনি স্ট্রাইক নিতেই গম্ভীর ফিল্ডার দিয়ে ঘিরে ফেলেন। শাকিব আল হাসান, সূর্যকুমার যাদব এবং ইউসুফ পাঠানকে ক্লোজে ডেকে আনেন। ধোনিকে নিশ্বাস ফেলতে দেননি গম্ভীর। গম্ভীর জানতেন স্পিনারদের বিরুদ্ধে ধোনির দুর্বলতা রয়েছে। স্পিনারের বল ব্লক করতে গেলে বা ডিফেন্স করতে গেলে ধোনি নিজেকেই বিপন্ন করবেন, গম্ভীর জেনেবুঝেই ফিল্ডিং সাজাতেন এবং বোলার আনতেন।