সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমিত ওভারের পর এবার টেস্ট ক্রিকেটেও দেশের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। শনিবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক। বিসিসিআইয়ের সঙ্গে বিবাদ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে হারের পরই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বিরাট।
শনিবার টুইটারে এক আবেগঘন বার্তায় কোহলি জানিয়ে দেন, ভারতীয় দলের (Indian Team) অধিনায়ক হিসাবে তাঁর সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন,”গত ৭ বছর ধরে এই দলকে সঠিক দিশায় নিয়ে যেতে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। দলকে সাফল্য এনে দিতে সততার সঙ্গে কাজ করেছি, চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখিনি। কিন্তু সব ভাল জিনিসই একটা সময় এসে শেষ হয়। আজ ভারতের টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে আমার সময় শেষ হল।” টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম সফল টেস্ট অধিনায়ক বলছেন, “এই ৭ বছরে অনেক সাফল্য এসেছে, অনেক ব্যর্থতাও এসেছে। কিন্তু কখনও চেষ্টা বা বিশ্বাসের অভাব ছিল না। আমি সবসময় নিজের ১২০ শতাংশ দেওয়াতে বিশ্বাস করি। আমি জানি এটাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার সঠিক সময়। নিজের দলের প্রতি আমাকে সৎ থাকতেই হবে।”
[আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যর্থতার পরও কি সুযোগ পাবেন রাহানে-পূজারা? কী বলছেন কোহলি?]
টি-২০ বিশ্বকাপের আগেই ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব ছাড়েন বিরাট। তবে সেসময় ওয়ানডে এবং টেস্টে অধিনায়ক হিসাবে থেকে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই (BCCI)। যা নিয়ে বোর্ড এবং কোহলির বাদানুবাদ পর্ব নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে। বিসিসিআইয়ের বক্তব্য, বিরাটকে টি-২০ অধিনায়কত্ব না ছাড়তে অনুরোধ করা হয়েছিল। নির্বাচক থেকে শুরু করে বোর্ডের আধিকারিক সকলেই তাঁকে অনুরোধ করেন টি-২০ দলের অধিনায়ক পদে থেকে যেতে। বিরাট সেই অনুরোধ না শুনে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়ক রাখার পক্ষে নন নির্বাচকরা। তাই ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে রোহিতকে দুই ফরম্যাটেই ক্যাপ্টেন করা হয়।
[আরও পড়ুন: India vs SA: কোনও শাস্তি নয়, স্টাম্প মাইক বিতর্কে স্রেফ সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হল কোহলিদের]
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকে উড়ে যাওয়ার আগে এক সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট কোহলি দাবি করেন, কেউ তাঁকে টি-২০ অধিনায়কত্ব না ছাড়তে অনুরোধ করেননি। এমনকী, ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর মাত্র দেড় ঘণ্টা আগে তাঁকে জানানো হয়। অর্থাৎ প্রকারান্তরে বোর্ড সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেই মিথ্যাবাদী বলে দেন কোহলি। বোর্ডের তরফে অবশ্য কোহলির এই অভিযোগ খারিজ করা হয়। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছিল। সেই বিতর্কের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকায় বিরাটের নেতৃত্বে টেস্ট সিরিজ হারে ভারত। তারপরই অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন কিং কোহলি।