সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শচীনের অমৃতকুম্ভে বিরাটের পূণ্যস্নান। এছাড়া আর কী-ই বা বলা যায় বিরাট মহাকাব্যকে! ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম মাস্টার ব্লাস্টারের ঘরের মাঠ। সেই মাঠেই কোহলি ব্যাটিং মায়্স্ত্রোকে ছাপিয়ে গেলেন। ইডেন গার্ডেন্সে শচীনকে ছুঁয়েছিলেন। ওয়াংখেড়েতে তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান এবং ওয়ানডে-তে সর্বোচ্চ শতরানের নিরিখে এখন গোটা বিশ্বে তিনিই সেরা। ঈশ্বরের আপন ভূমিতেই অধীশ্বর কোহলি।
এতকাল একটি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক ছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। তাঁর ঝুলিতে ছিল ৬৭৩ রান। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ চারের লড়াইয়ে সেই রানকেই ছাপিয়ে গেলেন কোহলি। আর সেই সঙ্গে আরব সাগরের তীরে নতুন আরব্য রজনী রচনা করলেন কিং কোহলি।
[আরও পড়ুন: ছটের ভিড়ে দিল্লি স্টেশনে বন্ধ প্ল্যাটফর্ম টিকিট বিক্রি, কোন পথে শিয়ালদহ-হাওড়া?]
এদিন ৪৭ রানে রোহিত শর্মা আউট হতেই ক্যামেরা ঘুরে গিয়েছিল ওয়াংখেড়ের ড্রেসিংরুমের দিকে। যেখানে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছিলেন কোহলি। গোটা দেশ কেন, গোটা দুনিয়ার নজর যে আটকে সেদিকেই। যাঁকে বাইশ গজের দুনিয়ার ঈশ্বরের আসনে বসিয়েছে গোটা বিশ্ব, সেই শচীনকেই ছাপিয়ে গিয়ে নয়া নজিরের মালিক হলেন দিল্লির ছেলে।
চলতি টুর্নামেন্টে ইডেনে ৪৯ তম ওয়ানডে শতরান করে শচীনের শতরানের রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন বিরাট। এর পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অধরাই থেকে কাঙ্ক্ষিত মাধুরী। ৮৮ রানে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও আসেনি সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৫১ রানে আউট হন। একটা সময় মাস্টার ব্লাস্টারের শতরানের সেঞ্চুরি দেখার খিদে যেমন বেড়েছিল ক্রিকেটভক্তদের, তেমনই কোহলির জন্যও প্রতীক্ষা দীর্ঘায়িত হয়। অবশেষে সেই শচীনের ঘরের মাঠেই ইতিহাস রচনা কোহলির। আর সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের নকআউটে রান করতে না পারার শাপমুক্তি ঘটালেন তিনি।
বিরাটের ৪৯তম সেঞ্চুরির পর আবেগঘন টুইট করেছিলেন শচীন। লিখেছিলেন, “আশা করব আর কয়েকদিনের মধ্য়েই ৪৯ থেকে ৫০-এ পৌঁছে যাবে তুমি।” নিজের গুরুর ইচ্ছাপূরণ করে ১০ দিনের মধ্যে সত্যিই সেই মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন তিনি। ওয়াংখেড়ের গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে এই অনন্য নজির দেখে হাততালি দিলেন খোদ শচীন। এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইল ক্রিকেট বিশ্ব। সেমিফাইনালের ওয়াংখেড়ে যেন বলে উঠল, ‘জাহাপনা তুস্সি গ্রেট হো’।