ভারত (প্রথম ইনিংস): ১৯১/১০ (শার্দূল ৫৭, বিরাট ৫০, ক্রিস ওকস ৪/৫৫, রবিনসন ৩/৩৮)
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস): ২৯০/১০ (পোপ-৮১, ওকস-৫০, উমেশ ৩/৭৬)
ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস): ৪৬৬/১০ (রোহিত-১২৭, পূজারা-৬১, শার্দূল-৬০, ওকস ৩/৮৩ )
ইংল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস): ২১০/১০ (বার্নস-৫০, হামিদ-৬৩, উমেশ- ৩/৬০)
ভারত জয়ী ১৫৭ রানে
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়ার পরই ভারতীয় দল নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। যে সমালোচনা আরও তীব্র হয় ওভাল টেস্টে বল গড়ানোর পর। কেন আর অশ্বিনকে এখনও বসিয়ে রাখা হচ্ছে? কেন ওভালের মতো উইকেটে তাঁকে নেওয়ার কথা ভাবলেন না ক্যাপ্টেন কোহলি। এমনকী, প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের দুর্দশা দেখে নিন্দুকরা এ কথাও বলেছিলেন, এই টেস্ট হারলে, তার অন্যতম কারণ হবে অশ্বিনকে প্রথম একাদশে না রাখা। তবে বিরাট কোহলিরা সব প্রশ্ন, সব সমালোচনার জবাব দিয়ে দিলেন রুটবাহিনীকে হারিয়ে। ১৯৭১ সালের পর ওভালে ফের সাদা জার্সির লড়াইয়ে জয়ী টিম ইন্ডিয়া।
প্রথম ইনিংসের পর ফের যেন ভারতীয় শিবিরে তৃতীয় টেস্টের স্মৃতি উসকে গিয়েছিল। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় আরও একবার মুখ পুড়ত টিম ইন্ডিয়ার। কিন্তু সেখান থেকেই ধীরে ধীরে খেলার মোড় ঘুরতে শুরু করে। শেষমেশ যার মধুরেণ সমাপয়েৎ ঘটালেন উমেশ যাদব। ওভাল টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই ছ’টি উইকেট তুলে নেন উমেশ।
[আরও পড়ুন: India vs England: RT-PCR টেস্টেও পজিটিভ রবি শাস্ত্রী! ম্যাঞ্চেস্টারে কোচকে ছাড়াই নামবেন কোহলিরা]
দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মার অনবদ্য ব্যাটিং দিয়ে শুরুটা হয়েছিল। ধীরে ধীরে পূজারা, কোহলি, শার্দূলরা ভিত মজবুত করেন। শার্দূল তো আবার শুধু ব্যাট হাতে নন, বোলিংয়েও নজর কাড়লেন। বার্নস আর রুটের মতো দু’টি অতি মূল্যবান উইকেট তুলে নিয়ে ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দিলেন তিনি। জাদেজা ও বুমরাহও তুলে নেন দুটি করে উইকেট। দুই ওপেনার বার্নস ও হামিদ ছাড়া ভারতীয় পেস ঝড়ের সামনে আর কেউই সেভাবে ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্টের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে ফের রুটদের হারিয়ে চলতি সিরিজে ২-১-এ এগিয়ে গেলেন কোহলিরা।
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, কেরল-মুম্বইকে পিছনে ফেলে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে সই করাল SC East Bengal]
এই টেস্ট চলাকালীনই আবার কোভিড আক্রান্ত হন দলের হেডস্যর রবি শাস্ত্রী। ম্যাঞ্চেস্টারে তাঁকে ছাড়াই নামতে হবে কোহলিদের। সেই কারণেই হয়তো জয়ের পর ভারত অধিনায়ক টুইটারে লিখেছেন, “কঠিন পরিস্থিতিই আরও শক্ত হতে শেখায়। আগামীর জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।” অর্থাৎ ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতের পাখির চোখ সিরিজ জয়ই।