সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না বিরাট কোহলির (Virat Kohli)। ব্যাট হাতে আগের মতো ঝলসে উঠতে পারছেন না ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। বেশ কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার বিরাটের পাশে দাঁড়ালেও অনেকের আক্রমণের মুখে পড়েছেন কিং কোহলি। খারাপ ফর্মের পাশাপাশি বেশ কিছু সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিয়েছেন তিনি। এহেন সিদ্ধান্তের কারণেও বিশেষজ্ঞদের চক্ষুশূল হয়েছেন কোহলি। এহেন পরিস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন অলরাউন্ডার স্কট স্টাইরিস নতুন করে বিরাটকে নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে জিম্বাবোয়ে সফরে পাঠানো হতে পারে বিরাটকে (Virat Kohli Off Form) । বুধবারই ভারতীয় দলের প্রাক্তন সদস্য প্রজ্ঞান ওঝা জানিয়েছিলেন, আর বিশ্রাম নেবেন না বিরাট। আসন্ন সব সিরিজেই খেলবেন তিনি। তাঁর এই কথার পরে ক্রিকেট মহলে জল্পনা আরও বেড়ে যায়, তাহলে কি জিম্বাবোয়ের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধেও খেলবেন বিরাট? সাধারণত তুলনামূলক দুর্বল দলগুলির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় সারির দল নামায় ভারত।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে কেন চেস অলিম্পিয়াডের মশাল! রেগে ভারতের মাটি থেকে প্রতিযোগিতা বয়কট পাকিস্তানের]
সেই কথার প্রেক্ষিতেই স্টাইরিস (Scott Styris) বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমার মনে হয়, বিরাট কিছুদিন ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেই ভাল করবে। জিম্বাবোয়ে সফরে গেলেও বিরাটের খুব বেশি লাভ হবে না। ওখানে হয়তো সস্তা একটা সেঞ্চুরি করবে বিরাট। হারানো আত্মবিশ্বাসের কিছুটা ফিরে আসবে। কিন্তু তাতেও ওর আশেপাশের পরিস্থিতি পালটে যাবে না। তবে এখনও আমি মনে করি ভারতের সাফল্যে বিরাটের অবদান থাকবেই।”
দল নির্বাচন নিয়েও মুখ খুলেছেন স্টাইরিস। তিনি বলেছেন, “একটা দল বানাতে গেলে অনেক কিছু মাথায় রাখতে হয়। শুধু সেরা খেলোয়াড়দের বেছে নিলেই হয় না। বিশ্বকাপের আগে কোহলির ফর্মে ফিরে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই জন্যই ক্রিকেট থেকে লম্বা বিরতি নিয়ে তরতাজা হয়ে ফিরে আসা দরকার। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের নিশ্চয়ই কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। সেই মতো কাজ করতে গেলে একশো শতাংশ প্রস্তুতি থাকা দরকার প্রত্যেকটি খেলোয়াড়ের।” তবে আদৌ বিরাট জিম্বাবোয়ে সফরে যাবেন কিনা, তা নিয়ে এখনও সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। কিন্তু ভক্তরা অধীর আগ্রহে চেয়ে রয়েছেন, তাঁদের প্রিয় কিং কোহলি আবার ব্যাট হাতে দাপট দেখাবেন। কবে সেই আশা পূরণ হবে, তার উত্তর দেবে সময়।