সংবাদ প্রতদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানুষের জন্য ধর্ম না ধর্মের জন্য মানুষ? এই প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে চলেছে মানবজাতি। তবে উগ্র ধার্মিক মতবাদের আড়ালে মানবিকতা যে চাপা পড়ে গিয়েছে তা স্পষ্ট। সম্প্রতি, মানুষের শারীরিক চাহিদাকেও ধর্মের গণ্ডির মধ্যে বাঁধার চেষ্টা চরম আকার ধারণ করেছে। তবে প্রতিবাদ যে হচ্ছে না তা নয়। দু’দিন আগেই নারীর যৌন চাহিদা ও উত্তেজনাকে প্রশমিত করার জন্য এক বিতর্কিত বিধান দেন আমেরিকার ভার্জিনিয়া শহরের সবথেকে বড় মসজিদের এক ইমাম। তাঁর বক্তব্য, নারীর যৌন উত্তেজনা কমাতে যোনিচ্ছেদই সঠিক উপায়। এই বিতর্কিত বক্তব্য নিয়ে বয়ে যায় নিন্দার ঝড়। প্রতিবাদের স্বর শোনা যায় খোদ ওই মসজিদের মধ্যে থেকেই। ওই ন্যক্কারজনক মন্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ‘দার আল-হিজরা’ মসজিদের এক ইমাম। জোহারি আবদুল মালিক নামের ওই ইমাম জানিয়েছেন, যোনিচ্ছেদের সমর্থনে ঘৃণ্য মন্তব্যের প্রতিবাদে তিনি পদ ছাড়ছেন।
উল্লেখ্য, সমাজ ও ধর্মের তাগিদে যোনিচ্ছেদকে বাধ্যতামূলক করার নিদান দিয়েছিলেন ইমাম শাকের এল সায়েদ। ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্স কাউন্টির আল-হিজরা মসজিদের ইমামের মতে, যোনিচ্ছেদ হলেই মহিলাদের অতি কামোত্তেজনা প্রশমিত হবে। সম্প্রতি, মসজিদের নিজস্ব টিভি চ্যানেলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতেই ইমাম এহেন নিদান দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মহিলাদের যৌন উত্তেজনা কমাতে তাঁদের সবচেয়ে যৌন সংবেদনশীল অঙ্গটিই কেটে বাদ দেওয়া উচিত। তিনি আরও সতর্ক করেছেন, সমাজে মহিলাদের যৌন চাহিদা সমস্যা ডেকে আনতে পারে। তাই এমন অতি যৌন উত্তেজনাকে প্রশমিত করতে হবে। মহিলারা এক বা একাধিক পুরুষ সঙ্গীতে সন্তুষ্ট হন না।
কিন্তু ইমামের ওই বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। মসজিদের বোর্ড একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, যোনিচ্ছেদ প্রথাকে কর্তৃপক্ষ কোনওভাবেই সমর্থন করে না। মহিলাদের যৌন চাহিদার সঙ্গে যোনিচ্ছেদ প্রথার প্রসঙ্গ টেনে আনার জন্য ইমামকে তুলোধোনা করেছে কর্তৃপক্ষ।
[গরমে নাজেহাল? জেনে নিন কী খেলে সহজেই পাবেন এনার্জি]
The post যোনিচ্ছেদ বিতর্কের প্রতিবাদে পদ ছাড়লেন মুসলিম ধর্মগুরু appeared first on Sangbad Pratidin.