সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক চড়ে সারা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন চণ্ডীগড় বিমানবন্দরের মহিলা নিরাপত্তাকর্মী কুলবিন্দর কৌর। কারণ সেই চড়টি তিনি মেরেছেন কঙ্গনা রানাউতকে (Kangana Ranaut)। বিষয়টি নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষের তরজা চলছে। এর মধ্যেই আবার কুলবিন্দরকে চাকরির প্রস্তাব দিলেন বলিউডের সুরকার বিশাল দদলানি (Vishal Dadlani)।
ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল ভিডিওর স্ক্রিনশট শেয়ার করে বিশাল লেখেন, "আমি হিংসা সমর্থন করি না। কিন্তু মহিলা জওয়ানের রাগের কারণ বুঝতে পারছি। যদি CISF এনার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়। আমি কথা দিচ্ছি, তাঁর জন্য একটি চাকরি অবশ্যই রইল যদি তা করতে ইচ্ছুক হন। জয় হিন্দ, জয় জওয়ান, জয় কিষাণ।"
[আরও পড়ুন: ভালোবাসা তো অপরাধ নয়…’, প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ‘অযোগ্য’ রসায়ন প্রসঙ্গে কৌশিক]
এদিকে এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমকে ঋতাভরী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, নারী হোক বা পুরুষ, কারও ক্ষেত্রেই তিনি হিংসাকে সমর্থন করেন না। দেশের আইনের উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। গায়ে হাত তুলে প্রতিবাদ হয় না বলেই ঋতভরীর বিশ্বাস। কঙ্গনার কিছু কাজ ও বক্তব্য তিনিও সমর্থন করেন না। কিন্তু অপরাধের জবাব অপরাধ হতে পারে না বলেই মত অভিনেত্রীর। 'ধর্ষণের জবাব তো ধর্ষণ হতে পারে না!', বলেন তিনি।
শারীরিক বা মৌখিক হিংসা সমাজকর্মী পিয়া চক্রবর্তীও সমর্থন করেন না। তবে এই ঘটনার প্রেক্ষিত মনে করে দিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, এক রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র সেজে বছরের পর বছর অত্যন্ত 'টক্সিক' কথা বলে গিয়েছেন কঙ্গনা। কৃষকদের সরাসরি অপমান করেছিলেন তিনি। পিয়ার প্রশ্ন, এই অপমান ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিরোধ করতে সরকার বা আইন কী করেছে? কঙ্গনা কি কোনও শাস্তি পেয়েছেন? পিয়া মনে করেন কুলবিন্দরের দিকটাও সহমর্মিতা নিয়ে দেখা উচিত।
পরিচালক সুদেষ্ণা রায় সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি কোনওভাবেই হিংসার সমর্থক নন। তবে কঙ্গনার কিছু মন্তব্য, তাচ্ছিল্য মেনে নেওয়া যায় না। তাঁর মত, কঙ্গনা নিজেও নির্দোষ নন। যদিও চড় মারাকে কিছুতেই সমর্থন করা যায় না। কুলবিন্দরের উচিত ছিল নিজের আবেগ সংযত রাখা। তা পারলেন না বলেই সাসপেন্ড হতে হল তাঁকে। সূত্রের খবর, নবনির্বাচিত তারকা সাংসদকে চড় মারার মাশুল হিসেবে গ্রেপ্তারও হতে হয়েছে কুলবিন্দরকে।