দেব গোস্বামী, বোলপুর: পৌষমেলা হবে। সময়ের অভাবে ছোট করে হলেও হবে। অপেক্ষা শুধু ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের অনুমতি। বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অফিসে মেলা প্রসঙ্গেই দীর্ঘক্ষণ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির সদস্যরা।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, রাজ্যপালের নমিনি, রেজিস্ট্রার-সহ বিভিন্ন বিভাগের ৪ জন অধ্যক্ষ-সহ ৮ সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দু’জন সদস্য সরাসরি উপস্থিত না থাকলেও অনলাইনে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে মেলা করার প্রশ্নে সর্বসম্মতিক্রমে রায় দিয়েছে কর্মসমিতির অধিকাংশই। তবে হাতে সময় কম থাকার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। ঠিক হয়, পরিবেশ আদালত থেকে নতুন নির্দেশিকা পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি মেলার প্রস্তুতি শুরু করবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বৈঠক করা হবে রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গেও। বিশ্বভারতীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কর্মসমিতির বৈঠক ইতিবাচক। সকলেই পৌষমেলা নিয়ে আশাবাদী। তবে পরিবেশ আদালতের কিছু নিয়মবিধি রয়েছে। নির্দেশিকা মিললেই ছোট করে হলেও মেলার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।’
[আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’, লণ্ডভণ্ড হবে বাংলা?]
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকাকালীন শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা বন্ধ হয়েছিল। বিশ্বভারতী থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিদায় নেওয়ার পরই ২০১৯ সালের পর এবছর পৌষমেলার আয়োজনের তোড়জোড় শুরু হয়। তবে সময়ের অভাবটিও বিবেচনার মধ্যে ছিল। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের বৈঠকে মেলা করার পক্ষেই সদর্থক ছিল দুই পক্ষ। তবে পরিকাঠামোগত প্রস্তুতি সেরে আদৌ মেলা করা সম্ভব কি না, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও চিন্তায় ছিল। শুক্রবার কর্মসমিতির বৈঠকে মেলা করার পক্ষেই মত প্রকাশ করলেন সবাই।
দুজন সদস্য পরিকাঠামো, অল্প সময়, পূর্বের আইনি জটিলতার প্রসঙ্গে পৌষমেলা নিয়ে আরও ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন বলে দাবি করেন। সর্বশেষে দীর্ঘ বৈঠকের পর সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় অল্প সময়ে প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও মেলা করার জন্য অবিলম্বে প্রস্তুতি শুরু করা হবে। পরিকাঠামোগত যে সমস্ত সহায়তা প্রয়োজন তা সুরাহার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এখন দেখার, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট কতটা সমর্থ হয় মেলার পরিকাঠামো গড়ে তুলতে।