ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর : ১৩৩২ সালের ২৫ বৈশাখ বেশ জাঁকজমক করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ছিলেন বিধুশেখর শাস্ত্রী। আর উৎসবের একটি বিশেষ অঙ্গ ছিল ‘পঞ্চবটি’ প্রতিষ্ঠা। উত্তরায়ণের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে রবীন্দ্রনাথ নিজের হাতে পাঁচটি বৃক্ষ রোপন করে ছিলেন। রবিবার এই পঞ্চবটী সংস্কার করা হল। পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
[পিছনে ছুটছে গজরাজ, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পর্যটকদের]
রবীন্দ্রভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩৩২ সালে রবীন্দ্রনাথের ৬৫তম জন্মদিনে কবি নিজের হাতে পুঁতেছিলেন পাঁচটি গাছ। তাদের মধ্যে ছিল বট, অশ্বত্থ, বেল, আমলকি এবং অশোক। গাছগুলি এতদিন জঙ্গলে ঢাকা অবস্থায় পড়ে ছিল। সম্প্রতি পঞ্চবটি বৃক্ষগুলি চিহ্নিত করে সংস্কারের উদ্যোগ নেয় রবীন্দ্রভবন কর্তৃপক্ষ। ঠিক হয় গান্ধী পুণ্যাহের দিনে বাগানপরিস্কারে হাত লাগাবেন রবীন্দ্রভবনের আধিকারিক এবং কর্মীরা। রবিবার সকালে রবীন্দ্রভবনের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর অমল পাল, প্রাধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, কিউরেটর প্রদীপকুমার মণ্ডল, চঞ্চল হাজরা সহ অন্যান্যরা এই কাজে হাত লাগান।
[প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই বামেদের দেওয়াল লিখন বালুরঘাটে]
এই বিষয়ে রবীন্দ্রভবনের ভারপ্রাপ্ত ডিরেক্টর অমল পাল বলেন, “পাঁচটি গাছ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের হাতে লাগিয়ে ছিলেন। এদিন এটি সংস্কারের পাশাপাশি খুব তাড়াতড়ি পর্যটকদের জন্য এই বাগানটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ১৯১৫ সালে কিছুদিনের জন্য আশ্রম পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তিনি দেখিয়ে দেন, আশ্রমবাসীরা যে জীবন কৃচ্ছ সাধনাময় ভেবে আত্মপ্রসাদ লাভ করেছিলেন, সেটা ছিল বাস্তবিক বিলাসপূর্ণ আশ্রম। মেথর, চাকরদের বিদায় করে তিনি এখানে যে বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন, সেটা অনেকের পক্ষেই অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরে গান্ধীজি সবরমতি চলে যান। এরপর থেকে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধার জানাতে প্রতি বছর ১০ মার্চ দিনটি গান্ধি পূণ্যাহ রূপে উদযাপিত করা হয়ে থাকে। এদিন ছাত্রছাত্রীরা হস্টেল, আশ্রম চত্বর নিজেরা পরিষ্কার করেন। এদিন রবিবার সকালে পাঠভবনের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পরিষ্কারে হাত লাগিয়েছিল উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।
ছবি : রাজা ভকত
The post পর্যটকদের জন্য সুখবর, পঞ্চবটি খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী appeared first on Sangbad Pratidin.