দেব গোস্বামী, বোলপুর: বাংলার মুকুটে নতুন পালক। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার (World Heritage Centre) তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে বাংলার এক বিশ্ববিদ্যালয়। এমন খবরই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি। সেপ্টেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা করবে ইউনেস্কো।
বিশ্বকবি রবি ঠাকুরের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। হাজার বিতর্কের মধ্যে সেই বিশ্বভারতীই এবার ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার হিসেবে ঘোষিত হতে পারে। কারণ ইউনেস্কোর উপদেষ্টা সংগঠন ইকোমসের (ICOMOS) তরফে বিশ্বভারতীর অন্তর্ভুক্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি আরবের রিয়াধে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির বৈঠক সম্মেলন রয়েছে। সেই সম্মেলন থেকেই এই ঘোষণা করা হবে।
[আরও পড়ুন: বাংলায় ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’র পরোক্ষ প্রভাব পড়লেও কমবে না গরম, কবে বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে?]
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে লিভিং হেরিটেজ-এর তকমা দিল ইউনেস্কো। যা বিশ্বে এই প্রথমবার। সাধারণত কোনও স্মৃতিস্তম্ভকে হেরিটেজ সম্মান দেওয়া হয়। বিশ্বে এই প্রথমবারের মতো সক্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়কে, যা পুরোদমে কাজ করছে, তাকে ইউনেস্কো থেকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়া হল। বিশ্বভারতী জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, সবেমাত্র খবর কি পৌঁছেছে। তবে বিশ্বভারতীর কোন কোন ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থান এই সম্মান পেয়েছে এখনই তা পষ্ট নয়।টুইটারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী ভারতের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তাঁর সেই স্বপ্নপূরণে আরও একধাপ এগোল। যদিও এবিষয়ে রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
বর্তমানে একাধিক কারণ বিতর্কের কেন্দ্র বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্য়ের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, কেন্দ্র পরিচালিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঐতিহ্য নষ্ট করছেন। রাজ্য়ের বিরুদ্ধে পালটা সরব হয়েছে কেন্দ্র। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আন্তর্জাতিক তকমা নিসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর কাছে ফেরা হল না, ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত যুবক]