ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীরা পেয়েছেন প্রায় ২০০! মঙ্গলবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati) এম.এড কোর্সের প্রবশিকা পরীক্ষার মেধাতালিকায় এই নম্বরের জেরে ফের বিতর্কের মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। এবার সেই বিতর্কের জেরে বুধবার তড়িঘড়ি মেধাতালিকা ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নিল বিশ্বভারতী। এক লাইনে নোটিস লিখে জানানো হয়েছে, দ্রুতই সংশোধিতা মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে।
সোমবার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। বিশ্বভারতীতে অনলাইনে এম.এডের (M.Ed) প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল ১০০ নম্বরের। তাতে কেউ পেয়েছেন ১৯৬, কারও প্রাপ্ত নম্বর ১৫১! মঙ্গলবার বিনয় ভবন থেকে প্রকাশিত মেধাতালিকায় এসব নম্বর দেখে চক্ষুচড়কগাছ পরীক্ষার্থীদের। সেইসঙ্গে মনে হাজারও প্রশ্ন। এ কি সত্যিই নম্বর বিভ্রাট নাকি মেধাতালিকা প্রকাশে কারচুপি করতে গিয়েই এই গরমিল? বিষয়টি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা যতই চর্চা শুরু করুক, ওইদিন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এনিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
বিশ্বভারতীর প্রবেশিকা নিয়ে একাধিক গরমিলের অভিযোগ বরাবরের। হাজারও কারচুপির অভিযোগ ওঠে প্রতি বছর। মোটা অঙ্কের বিনিময়ে বাইরের পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার জন্য বিশ্বভারতীর পডুয়াদেরই উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেওয়া হয় না। এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষার এই নম্বর বিভ্রাটও কি তারই একটি অংশ? শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল শোরগোল। অনেকেই অভিযোগ তুলছেন, কারচুপি করে বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়ার জন্য নম্বরের তালজ্ঞান লোপ পেয়েছে পরীক্ষকদের। এমনিতে এম.এড কোর্সে বিশ্বভারতীর আসন সংখ্যা ৩০-এর কাছাকাছি। সেখানে ৪৩ জনের নামের মেধাতালিকা কেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষামহলেও তুমুল সমালোচনা শুরু হয় এনিয়ে।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ফের জ্বরে আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু,পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর প্রশাসন]
সেই বিতর্কের মুখে পড়েই এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ওই ভুল মেধাতালিকা। সঙ্গে মাত্র একলাইনের নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, দ্রুত এম.এডের প্রবেশিকা পরীক্ষার নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে।